অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চা শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানি খাত। এই শিল্পকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। চা শ্রমিকদের মজুরি, চিকিৎসা, বিশুদ্ধ পানি, সেনিটেশনসহ তাদের জীবনমান উন্নয়ন ও মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার। শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গলের সভাকক্ষে চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যখন চায়ের মূল্যবৃদ্ধি পাবে তখন রেশিও অনুযায়ী চা শ্রমিকদের মজুরিও বৃদ্ধি পাবে এবং চা বোর্ডের সাথে কথা বলে নিলামে চায়ের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে কি হবে না, সেটা আমার বিষয় না। নির্বাচন নিয়ে যাদের চিন্তা করার কথা তারা করবেন।
সভায় শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চায়ের নিলাম মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় শ্রমিকরা সময়মতো মজুরি পাচ্ছেন না। তাদের মজুরি ও রেশন ব্যবস্থা উন্নয়নে আলোচনা চলছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) ওমর মো. ইমরুল মহসিন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ, শ্রম অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহ আব্দুল তারিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন, শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক মহব্বত হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় চা শ্রমিকদের মধ্যে কথা বলেন, বিজয় হাজরা, গীতারানী কানু, পংকজ কন্দ প্রমুখ। সভায় চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা চা শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে চা শ্রমিকরা চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি, সনিটেশনসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভার আগে উপদেষ্টা শ্রম দপ্তর প্রাঙ্গণে বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে