ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পুরাতন কার্যালয়ে `জুলাই যোদ্ধা` নামের একটি সংগঠন ব্যানার লাগিয়ে কার্যক্রম শুরুর পর তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এক দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের আহ্বায়ক রায়হান অপু স্বীকার করেন, এটি ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে শহরের টিএফসি কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে রায়হান অপু লিখিত বক্তব্যে বলেন,“আমি একজন গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার করে আমাদের কার্যক্রম শুরু করা। ভবনটি আগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছিল বলেই আমরা জানতাম। তাই পরিষ্কার করে আমাদের ব্যানার টাঙিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর ব্যাপক বিতর্ক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আমরা বুঝতে পারি যে বিষয়টি আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।”
তিনি আরও বলেন,“আমরা ভবনটি দখল করিনি এবং কারও বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাই না। ভবনটি সরকারি খাস জমিতে অবস্থিত এবং আওয়ামী লীগ এটি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল। তাই এভাবে আমাদের ব্যানার টাঙানো এবং অফিসে প্রবেশ করাটা ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যেই আমরা ব্যানার সরিয়ে নিয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় লিজ নেওয়ার চেষ্টা করব।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ের চৌরাস্তায় বঙ্গবন্ধু সড়কের ওই তিনতলা ভবনটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছিল। ২০১৩ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এটি আগুনে পুড়ে যায় এবং এরপর থেকে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত বুধবার ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠন ভবনটি পরিষ্কার করে নিজেদের ব্যানার লাগিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে