শেরপুরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি দিতে আসা ৩ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে শেরপুরের নবারুণ পাবলিক স্কুলে লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় কাগজপত্র যাচাইকালে ছবি এবং তথ্যের গরমিল ধরা পড়লে ৩ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, ১। মো. রাজু আহম্মেদ (২৯), পিতা- নজরুল ইসলাম, মাতা-মোছা. দুলী, সাং-কমরগ্রাম, থানা-জয়পুরহাট সদর, জেলা-জয়পুরহাট, এ/পি-জনতা হাউজিং, রোড নং-০৪, বাসা নং-০২, মিরপুর-২, থানা- মিরপুর মডেল, ডিএমপি, ঢাকা।
২। আফ্রিদি রহমান @ নিটু (২৭), পিতা-ইকতিয়ার উদ্দিন, মাতা-সেলিনা আক্তার, সাং-আলিআকবর ডেইল, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সসবাজার, এ/পি-হক সোসাইটি, পূর্ব বাসাবো, থানা-মুগদা, ডিএমপি, ঢাকা।
৩। আবু শাহাদাৎ @ তুষার (২৭), পিতা-মোখলেছ উদ্দিন, মাতা-মেহেরুননেছা, সাং-কানসাট কলাবাড়ী, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-চাপাইনবাবগঞ্জ, এ/পি-আগারগাঁও তাতলা বাসস্ট্যান্ড (ভুলুবাড়ী গলি), থানা-শেরে বাংলানগর, ডিএমপি, ঢাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মূল পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিল বলে স্বীকার করেছে। আটক ১। মো. রাজু আহম্মেদ মূল পরীক্ষার্থী আসামি শাকিল মিয়ার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকার বিনিময় ২। আফ্রিদি রহমান @ নিটু মূল পরীক্ষার্থী আসামি শাকিল আহম্মেদের পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকার বিনিময় ও ৩। আবু শাহাদাৎ @ তুষার মূল পরীক্ষার্থী আসামি মো. বাদল ইসলামের পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিতে এসেছিল।
উক্ত ঘটনায় আসামি গ্রেফতার সংক্রান্তে শেরপুর সদর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে