কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই খামারিরা তাদের মোটাতাজা করা গরুগুলো সর্ম্পকে জানান দিচ্ছেন এবং প্রদর্শন করছেন। কালা পাহাড় নামে ৩৫ মণ ওজনের এমনই একটি গরু প্রদর্শন করেছেন ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর মনোহারপুর এলকার মৃত ফয়জুল হকের ছেলে খামারি সাইফুল ইসলাম।
পাঁচ বছর ধরে প্রাকৃতিক খাবারের পাশপাশি দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে গরুটিকে পরম যত্নে মোটাতাজা করে বড় করেছেন সাইফুল ইসলাম। বৃহৎ আকারের গরুটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন। খামারির প্রত্যাশা হালাল কোনো শিল্প উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী পেলে কাঙ্ক্ষিত দাম অনুযায়ী গরুটি বিক্রি করে দেবেন।
তিনি গরুটিকে কাঁচা ঘাসের পাশপাশি, খৈল, ভুসি, ডালসহ দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করেছেন। আকারে বড় এবং আচরণে খানদানি হওয়ায় খামারি গরুটির নাম রেখেছেন ‘কালা পাহাড়’।
তিনি বলেন, এটি আমার ঘরের খামারের গরু। খাবারেও সাধারণ সব কিছু ছিল। খুব সাধারণভাবেই তাকে লালন পালন করা হয়েছে। এটি দেখতে অনেক বড়। গরুটি ১ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের কালো রঙয়ের। সে জন্য ১০ লাখ টাকা বাজার মূল্য নির্ধারণ করা। খামারির প্রত্যাশা কাঙ্ক্ষিত দাম অনুযায়ী হালাল কোনো কোম্পানির শিল্প উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী পেলে কিছু কমমূল্যে হলেও তার শখের প্রিয় গরুটি তুলে দেবেন ওই ক্রেতার হাতে ও পাশাপাশি আরেকটি ২ লক্ষাধিক টাকার অধিক দামের একটি গরু উপহার হিসেবে দিবেন বলে জানান।
গরুটি বাজারে উঠানোর আগেই যেন বাড়ি থেকে বিক্রি করতে পারেন সেই প্রত্যাশা করছেন খামারি।
এদিকে প্রতিদিন বৃহৎ আকারের গরুটিকে দেখার জন্য উপজেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন। গরুটিকে একনজর দেখার পর এলাকার অন্য খামারিসহ উৎসুক এলাকাবাসীর চাওয়া ওই খামারি যেন কাঙ্ক্ষিত দাম পান।
স্থানীয় এক খামারি বলেন, গরুটি সাইফুল খুব যত্ন করে লালন পালন করেছেন। অন্য কোনো খাবার না দিয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি পালন করা হয়েছে। আমরা চাই, সে যেন গরুটির ন্যায্যমূল্য পায়।
গরুটিকে দেখতে আসা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সদস্য হাসিবুর রহমান বলেন, গরুটি আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় গরু। উপজেলার সদর থেকে গরুটির কথা শুনেই আমরা এখানে গরুটিকে দেখতে আসছি। এখানে এসে গরুটিকে দেখে বুঝতে পেরেছি কালা পাহাড় নামটি গরুটির সঙ্গে আসলেই মানায়। পুরো দেশীয় পদ্ধতিতে জমির কাঁচাঘাস খাইয়ে গরুটিকে বড় করে তোলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ খামারি গরুটির যে দাম বলেছে আমরাও চাই তিনি সে দামই পাক।
গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের উল্লেখ করে উপজেলা প্রানী সম্পদের এক কর্মকর্তা বলেন , উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি সহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মোট ১ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের কালো রঙয়ের গরুটির বাজার মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গরুটির নির্ধারিত কোনো দাম ওঠেনি।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে