শার্শা উপজেলার বেনাপোলের খড়িডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর সুমন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি জহিরুল ইসলাম (৩৫) আটক হয়েছে। সোমবার (১২ মে) বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাকে রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যার সময় বেনাপোলের বাহাদুরপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আটক জহিরুল যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (০৯ মে ) বিকেল ৫টার দিকে ভিকটিম সুমন হোসেনকে খড়িডাঙ্গা গ্রামস্থ কামার বাড়ী মোড়ে জনৈক আনিছুর রহমানের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে (জমি বন্ধকের পাওনা ৬০ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র্র করে) নির্মমভাবে ইট দিয়ে আঘাত ও পিটিয়ে জখম করে।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেনাপোল রজনী ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন ভোরে তার প্রসাব পায়খানা বন্ধ হয়ে গেলে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পার্শ্ববর্তী ইউনিক হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবশেষে দুপুর অনুমান ১২টার দিকে কতব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণ করেন।
উক্ত ঘটনায় নিহত সুমনের পিতা বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৭, তাং ১১/০৫/২৫, ধারা ৩০২/৩৪।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি টিম অভিযানে নামে।
অবশেষে হত্যার ৩ দিনের মধ্যে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি.) পবিত্র বিশ্বাস সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাহাদুরপুর বাজার হইতে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত এজাহার নামীয় আসামি জহিরুল ইসলামকে আটক করেন। পরে, আটক আসামিকে থানায় এনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে যশোর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দ্রুত অন্য আসামি আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে