আম সংগ্রহ আর বিক্রি শুরু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার কোটচাঁদপুরে। সোমবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে করে বাজারটিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে চার হাজার মানুষের। তবে অবৈবভাবে আম পাকানো ও পাকানোর উদ্দেশ্য মজুদতর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে অবস্থিত। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ। বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে বাজারটিতে। নির্দশনা অনুযায়ী এ বছর ১২-০৫-২৫ তারিখে সংগ্রহ করা যাবে আটি, বোম্বাই, গোপাল ভোগ আর গুঁটি আম। এরপর ১৫ মে গোবিন্দ ভোগ, ২১ মে হিম সাগর, ২৮ তারিখে ল্যাংড়া আর হাড়ি ভাঙ্গা, ৫ জুন আম্রপালী(বারি -৩), ১৩ জুন কাটিমন, বানানা, মল্লিকা, ১৫ জুন ফজলি আর ৩০ জুন বিশ্বনাথ, আশ্বিনে ও বারি আম ৪।
সে অনুযায়ী সোমবার (১২-০৫-২৫) সকাল থেকে বাগান আটি, বোম্বাই, গোপাল ভোগ আর গুঁটি আম সংগ্রহ শুরু করেছেন চাষিরা। বিক্রিও শুরু হয়েছে বাজারে।
এ ব্যাপারে আম বাজার সমিতির সভাপতি জাফর ইকবাল শান্তি বলেন, আমাদের আম বাজারটি বাজারের দিক থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আম বাজার। বিক্রি ও আম সংগ্রহ শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ বাজারে ব্যাপারি আসেন। তারা এখান থেকে আম কিনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। ইতোমধ্যে ব্যাপারিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন হওয়ায় আমের আমদানি কম হওয়ায় বেচা কেনা ও কম। তবে আগামীকাল থেকে বাজারে আমাদানি আর বেচা কেনা ভালো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এ বাজারে ৭১টি আড়ৎ রয়েছে। প্রতিটি আড়ৎতে ১০-১৫ জন মানুষ কাজ করেন। এছাড়া প্রতিদিন সকালে বাগানে আম সংগ্রহ যান প্রায় এক হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভ্যান, আলমসাধু, ট্র্যাক, মিনি ট্র্যাক মিলে প্রায় ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান শুরু এখান থেকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে আম নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি অফিসার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন ইতোমধ্যে। যাতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ করা যাবে না, কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ব আম ভাঙ্গা যাবে না, আম পাকানো বা সংরক্ষণের জন্য কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না আর অবৈধভাবে আম পাকানো ও পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুত করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
কেরানিগঞ্জের আম ব্যাপারি জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু) বলেন, আমি বেশ কয়েক বছর এ বাজারে ব্যবসা করি। এ বছর আমের আমাদানি ভালো। দামও কম। তবে এ বছর আমে কোনো দাগ নাই। এ বছর এই বাজারের আমের চাহিদা ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, এ বছর আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। প্রতিবছর আমে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ থাকে মানুষের, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আম ভাঙ্গা বিপণনসহ সব কিছু নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া সে অনুযায়ী মাইকিংও করা হয়েছে। তা না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে