মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার হামলাকারী সেনা সদস্যের বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৩ টায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
বসত বাড়ির জায়গার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেনা সদস্য ভাতিজার হাতে চাচা ও চাচি বেধর মারপিটের শিকার হন। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় মো: ফজল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ভুক্তভোগী জানায় গত ০৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে বসত বাড়ীর জায়গা এবং সীমানার কাঁঠাল গাছ কাটা নিয়ে তেবাড়িয়া এলাকায় মোঃ পাষাণ আলী ছেলে সেনা সদস্য মোঃ হোসেন মিয়া ও মৃত পরান আলীর ছেলে পাষাণ আলী, হোসেন মিয়া স্ত্রী ফাতেমা আক্তার। ভুক্তভোগী মো: ফজল হক আনোয়ারা বেগম কে বাঁশের লাঠি ও ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে ফজল হক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হয়। স্হানীয় এলাকাবাসী ফজল হক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম কে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ফজল হকের শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
সেনা সদস্য হোসেন মিয়ার হাতে চাচা ও চাচি কে মারধরের ঘটনায় স্হানীয় এলাকাবাসী মাঝে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফজল হকের মেয়ে আলেয়া বেগম সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহিনুল ইসলাম জানান ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :