পরিবার ও স্ত্রী-সন্তান রেখে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় আলোচনার ঝড় বইছে রাজশাহীর তানোরে। অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, মাহবুব নামের, তানোর পৌর সদরে এক তরুণীকে গোপনে বিয়ে করেন। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে, যা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।
জানা যায়, নববধূ কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করতেন। মেয়ের পরিবার জানায়, প্রায় দুই-আড়াই বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল না, এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও কেড়ে নেওয়া হয়। মেয়েটি কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরে আসলে পুরো বিষয়টি সামনে আসে।
বিয়ের বিষয়ে মেয়ের বাবা বলেন, “মেয়েকে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু সে এক শিক্ষকের খপ্পরে পড়ে এমন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে তাদের ‘কালেমা’ পড়া ছিল, কিন্তু কোন রেজিস্ট্রি ছিল না। পরে গ্রামের মাতব্বরদের পরামর্শে ৪ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে কাজি ডেকে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করি।”
এ বিষয়ে মেয়ের বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, “যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে, তাই জামাইকে যথাযথ সম্মান করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গ্রামের মাতব্বর ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে শিক্ষক মাহবুব বা নববধূ কারও সাথেই সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে পারেননি, কারণ তাদের সাথে দেখা বা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এদিকে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের এমন গোপন বিয়েকে অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ও অনৈতিক বলে উল্লেখ করছেন।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :