ফরিদপুরের সালথায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সালথা থানা পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের সোহেল রানা (২২)। ভুক্তভোগীর মা প্রবাসে থাকেন। আর বাবা ও ভাই জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করেন। গত ১৪ মার্চ ওই কিশোরী বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে বখাটে সোহেল বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পটুয়াখালী থেকে অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। বর্তমানে আসামি কারাগারে রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত সোহেল গ্রেফতার হওয়ার পরও উভয় পরিবার মীমাংসার চেষ্টা করে। ঘটনার পর ভেঙে পড়ে ভুক্তভোগী। বুধবার সকালে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সালথা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে অভিযুক্তের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :