রাজশাহীর তানোরে ১৪ গ্রুপে ১ হাজার ২৪১টি আমগাছ অতি গোপনে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্বপ্রাপ্ত জামিনুর রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিলাম দেয়ার জন্য কোনো ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রহস্যজনক কারণে স্থগিত করে দেন সহকারী প্রকৌশলী।একাধিক সূত্র ষিয়টি নিশ্চিত করে।
সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্বপ্রাপ্ত জামিনুর রহমানকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করে কোনো ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই গোপনে কীভাবে নিলাম হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা থেকে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম হয়েছে।
বাকি আমগাছগুলো বৃহস্পতিবার তানোর অফিস থেকে নিলাম দেয়া হবে। কোনো প্রচারণা ছাড়াই নিলাম দেয়া হয় কিভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিলামে বেশি অংশগ্রহণ না হলে স্থগিত করা হবে।
পরে সন্ধ্যার আগে পুনরায় মোবাইলে সহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিলাম নাকি স্থগিত হয়েছে, তিনি জানান হ্যাঁ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারে পুনরায় নিলাম দেয়া হবে। তার আগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, নিলামের আগে বিভিন্ন জায়গায় নোটিশ ও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করার পর নিলাম হয়। অবশ্য ২-৫টি গাছ নিলামের জন্য প্রচারের তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ১২৪১টি গাছ প্রচার প্রচারণা ছাড়া নিলাম মানেই সিন্ডিকেট। নিলামে যত বেশি অংশগ্রহণ করবে সরকারের ততই রাজস্ব বাড়বে। তাহলে সহকারী প্রকৌশলী কার স্বার্থে গোপনে নিলাম দিচ্ছিলেন। আসলে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, কিন্তু দোসররা বহাল তবিয়তে আছে বলেই এখনো বিএমডিএ থেকে সিন্ডিকেট দূর হয়নি। এসব চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
যে সব রাস্তার গাছ নিলাম হবে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো- সুকদেবপুর মসজিদ মোড় হতে মানিককন্যা হয়ে সিধাইড় পর্যন্ত ২.৫ কি.মি., গাছের সংখ্যা ১০৩টি। দূর্গাপুর মোড় হতে দূর্গাপুর পিয়ার উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত, ১ কি.মি., গাছের সংখ্যা ৪৭টি। হাতিশাইল রাস্তার মোড় হতে কচুয়া হাট হয়ে ঈদগা পর্যন্ত রাস্তার দুধার, ৩ কি.মি., গাছের সংখ্যা ৫০টি। লবাতলা খাড়ির ব্রিজের পশ্চিমে সেলিমের জমি হতে হারেজের জমি পর্যন্ত ৫ কি.মি. গাছের সংখ্যা ৫০টি। কালীগঞ্জ তালুকদার দীঘি হতে সরনজাই বাজার পর্যন্ত ১ কি.মি. ৪০টি গাছ। আমশো হতে লসিরামপুর ব্রিজ পর্যন্ত ১.৫ কি.মি. ৫৭টি গাছ। এভাবে সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার ১৪টি গ্রুপে ১২৪১টি আমগাছ নিলাম হতো।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :