AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তজুমদ্দিনে বিএনপির কাউন্সিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত



তজুমদ্দিনে বিএনপির কাউন্সিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত

দ্বীপজেলা ভোলার তজুমদ্দিনে বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এ ঘটনায় উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।

ঘটনাটি ঘটে ৫ মে বিকেলে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী জাহিদ হাসান দিদার ও অরবিন্দ দে টিটুর সমর্থকদের মধ্যে প্রথম থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দ্বিতীয় অধিবেশনে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরু থেকেই দুই পক্ষ মারমুখী অবস্থানে ছিল। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২২ জনকে তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন— শাখাওয়াত (১৬), নয়ন চন্দ্র দে (৪০), সুব্রত (২২), জুয়েল দে (৫২), রাহুল চন্দ্র দাস (২০), আশিস মিস্ত্রি (২৮), উৎপল দে (৩৮), তাপস মজুমদার (৫০), খোকন নট্র (৪০), বিপ্লব বৈদ্য (৫৫), আব্দুল করিম (৪৫), নাসিম (৩০), মাকসুদ (৩১), রাহিম (১৯), রিপন (২৫), রাসেল (২৬), লোকমান (৩৫), সোহেল (২৫), বাদশা (৩৫), কাশেম (৪০), এরশাদ (২০) ও জোবায়ের (৪০)।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু জানান, কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন ছিল উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ। তবে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমরা উপজেলা নেতৃবৃন্দ একটি মাদ্রাসার কক্ষে বৈঠকে বসলে মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

প্রার্থী জাহিদ হাসান দিদার অভিযোগ করেন, “সমর্থন কম থাকায় টিটুর লোকজন পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।” অপরদিকে, অরবিন্দ দে টিটু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উপজেলা আহ্বায়কের আত্মীয় দিদার পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে।”

তজুমদ্দিন থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়িত উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে, যার ফলে এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

একুশে সংবাদ/ভো.প্র/এ.জে

Shwapno
Link copied!