বরিশালের বানারীপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার শাবলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন সুলতান হোসেন খান (৪৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে আহত হওয়ার ২১ দিন পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।
নিহত সুলতান হোসেন খান বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মলুহার গ্রামের বাসিন্দা এবং স্বরূপকাঠির ইন্দেরহাট বন্দরে কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি একসময় আশা এনজিওতে বিভিন্ন পদে চাকরি করতেন।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক জমি বণ্টন নিয়ে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান শাবল দিয়ে চাচা সুলতান হোসেনের মাথায় আঘাত করেন। পাশাপাশি শাহজাহান খান, রুবেলের স্ত্রী লামিয়া আক্তারসহ আরও কয়েকজন কোদাল, ইট ও লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সুলতান হোসেনকে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন (৬ এপ্রিল) নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় বড় ভাই শাহজাহান খান, ভাতিজা রুবেল খান, লামিয়া আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে লামিয়া জামিনে মুক্তি পেলেও শাহজাহান ও রুবেল এখনও বরিশাল জেলহাজতে আছেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, "সুলতান হোসেন খান ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পূর্বের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলবে।"
একুশে সংবাদ//বা.ব.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :