ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বর থেকে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন মাদারীপুরের শিবচরে শত শত মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরের বাস স্টপেজে কোন আলো না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। এ অবস্থায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে গোলচত্বরে কোন ল্যাম্পপোস্টই নেই। অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা এলাকা। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার তার মধ্যে দূরপাল্লার বাসগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে দ্রুতগতিতে যাতায়াত করছে। অন্ধকারেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যানবাহনের জন্য যাত্রীদের। রাতে গোলচত্বরে আলো না থাকায় ওঁৎ পেতে থাকা একদল চোর-ছিনতাইকারী চক্র মাঝেমাঝে হুমকি-ধমকি দিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ অন্য মূলবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এক্সপ্রেস ওয়ের গোলচত্বরে কোন ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। আলো না থাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয় নারী যাত্রীদের।
গোলচত্বর সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল শেখ বলেন, আলোবিহীন গোলচত্বর থাকায় অনেক ছিনতাই চুরির ঘটনা শুনেছি এবং নারী যাত্রীদের সাথে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এত সুন্দর একটি স্থাপনা তৈরি করেছে সেখানে আলো থাকবে না বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারের কাছে অনুরোধ গোল চত্বরে যেন লাইটিং এর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
যাত্রাবাড়ী বাসের জন্য পাঁচ্চর গোল চত্বরে অপেক্ষা করছিলেন সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, যেখানে বাস দাঁড়াবে, সেই জায়গাটা অর্থাৎ গোলচত্বরের বাস স্টপেজটা অন্ধকার। সেজন্য এদিকে দূরে এসে আলোতে দাঁড়িয়েছি। বাস এলে ওদিকে যাবো। অন্ধকারে দাঁড়ালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ভয় আছে।
সুমাইয়া আক্তার নামের এক নারী যাত্রী বলেন, জরুরী কাজে ঢাকা যাচ্ছি। অন্ধকারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ভয় লাগছে, কখন কী হয়ে যায়। এখানে সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট থাকাটা জরুরী।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম. এম. হানিফ বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে পাঁচ্চর গোলচত্বরে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শিগগিরই বিষয়টি অবগত করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

