নিয়ম অনুযায়ী কমিউিনিটি ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। দুপুর ১টা বাজলেই বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ কেন্দ্র। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দেখ ভালের জন্য মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচ.আই) ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এ.এইচ.আই) দায়িত্বে থাকলেও তারা নিষ্ক্রীয়। এই কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলো দুই চার মাসেও পরিদর্শনে যাচ্ছে না। এ নিয়ে গোটা উপজেলার কমিউিনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা, স্বাস্থ্যসেবা।
গোবিন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কৌশিক কুমার, পাতাবাড়ীয়া কেন্দ্রের জামিল হোসেনসহ একাধিকজন বলেন, ৭ মাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ, কীভাবে চলব। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে রয়েছি। তারপরও কেন্দ্রগুলো সচল রেখেছি। মাঝে মধ্যে দু’একদিন শারিরীক অসুস্থতা ও পারিবারিক কাজের জন্য বিশেষ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ক্লিনিক বন্ধ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় ৫৬টি ক্লিনিকের জন্য মাঠ পর্যায়ে মাত্র দু’জন কর্মকর্তা। যেখানে ৩ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং ১৩জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকার কথা, সেখানে রয়েছে মাত্র দু’জন। জনবল সংকট থাকার কারণে প্রতিটি কেন্দ্রের সুনির্দিষ্টভাবে খোঁজ খবর নেয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সকাল ৯টা-বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যদি কোনো ক্লিনিক বন্ধ রাখা হয়, এ বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ৭ মাস ধরে সি.এইচ.সি.পিদের বেতন বন্ধ থাকায় মাঠ পর্যায়ে কেন্দ্রগুলোতে এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। মানবিক কারণে এ সময়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, বেশী চাপ প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। বেতনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :