জামালপুরের মাদারগঞ্জে নাশকতার মামলার প্রধান আসামীকে সাথে নিয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত।
১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে জোড়খালী, আদারভিটা এবং সিধুলি ইউনিয়নের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত। এবং পরিদর্শনকালে ফটোসেশন করে সেসব ফটো Uno madarganj jamalpur নামক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে একাধিক ফটোতে দেখা যায় নাশকতার মামলার প্রধান আসামী ও সিধুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মিরনকে। ফটোগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা।
মাদারগঞ্জ মডেল থানা সুত্রে জানা গেছে,২০২৩ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের রায়গঞ্জ বাজারে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এই ঘটনার ১ বছর ৬ মাস পর গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও সিধুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রতন বাদী হয়ে সিধুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম মিরনকে প্রধান আসামী দিয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০/৪০ কে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রথমদিকে কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও গত ১ অক্টোবরে অজ্ঞাত হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এই মামলার অজ্ঞাত ১৪ আসামীসহ সর্বমোটে ১৫ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চায়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাত জানান আমার জানা নেই সে মামলার আসামী কিনা, দ্বিতীয়তো সে জনপ্রতিনিধি।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান আমি এ থানায় নতুন, কোন চেয়ারম্যানের সাথে এখন পর্ন্তও পরিচয় হয়নি।মামলার প্রধান আসামিকে আমিতো চিনিনা।
একুশে সংবাদ/ এস কে