ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনেরপর জামালপুরের মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এর কিছুদিন পর আত্মবিশ্বাসী নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করলেও এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘড়ছাড়া প্রায় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মাদারগঞ্জ মডেল থানা সুত্রে জানা গেছে,২০২৩ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের রায়গঞ্জ বাজারে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এই ঘটনার ১ বছর ৬ মাস পর গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও সিধুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রতন বাদী হয়ে সিধুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম মিরনকে প্রধান আসামী দিয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০/৪০ কে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রথমদিকে কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও গত ১ অক্টোবরে অজ্ঞাত হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এই খবরটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই যেসব নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য আসতো গ্রেপ্তার আতঙ্কে তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামিউল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, গুনারীতলা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বাছেদ, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন,মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুনিম সাকিব, আদারভিটা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস সওদাগর, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপন, গজারিয়া গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহা আলম, সুজন রানা রঞ্জু, বিন্যাফৈর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ছামিউল ইসলাম মানিক ও পৌর তাঁতী লীগ ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আল আমীন,সিধুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহালম মেম্বার,আদারভিটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হাসান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সেলিম মোল্লা।
বর্তমানে প্রত্যেকেই তারা কারাগারে আছেন। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন,গত ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :