বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবার তার পদত্যাগ দাবি করে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী সেচ্ছাসেবক ও স্হানীয়রা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ব্যানারে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ। এ সময় জনতা ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড ও হাতে ঝাড়ু নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী সরকারের দালাল আক্ষা দিয়ে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে ফুলে,ফুশে উঠেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এতো কিছুর পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্হা নিচ্ছেন না সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেয়া জনসাধারণ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার, গত কয়েকবছর ধরে করোনার প্রনোদনা সহ কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ, হাসপাতালের রোগীদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো অবস্থায় ফেলে রেখে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে রোগীদের পাঠাচ্ছেন চুক্তি ভিত্তিতে। হাসপাতালের সরকারি বরাদ্দকৃত ঔষধপত্র রোগীদের না দিয়ে স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ণ করে অপচয় করছেন সরকারের অর্থ। কোভিট-১৯ এর সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের বরাদ্দকৃত আর্থিক সহয়তা তাদেরকে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকটে অফিসিয়াল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে হলে তাকে সেখানে দিতে হয় উৎকোচ। সরকারি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হলেও সে খাতে তা ব্যয় না করে অ্যাম্বুলেন্সটি ফেলে রাখা হয়েছে নদীর চরে। এছাড়াও আউট সোর্সিং ৪ জন কর্মীতে বেতনের টাকা না দিয়ে মাসের পর মাস তাদের হয়রানি করছে ডা. শর্মী রায়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হলেও রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে স্ব-পদে রয়েছেন তিনি। এসব নানাবিধ অনিয়মের কারনে মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে এ কর্মকতার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। যতক্ষন পর্যন্ত এ কর্মকর্তা পদত্যাগ না করবেন, তাদের লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, ‘তিনি ৩ দিনের প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোভিট-১৯ এর সময় তিনি দ্বায়িত্বে ছিলেন না। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা অনুযায়ী অর্থ সহয়তা দেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :