কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন যুবলীগ কর্মী জুয়েল মোল্লা। গত ১৯ জুলাই উত্তরায় কুপিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ কয়েক ঘণ্টা গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। জুয়েলের বন্ধুরা বলছেন, সেদিন পরিকল্পিতভাবেই হামলা করা হয়েছিল।
টঙ্গীর চান্দুয়ায় বাবার সাথে থাকতেন উত্তরায় ১৯ জুলাই নিহত হওয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী হামিদুল ইসলাম জুয়েল মোল্লা। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও পরিবারের কারও শোক কাটেনি।
স্বজনরা জানান, জুয়েলকে সব সময় পাশে রাখতেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর। দেখতেন নিজের ভাইয়ের মতো। যার কারণে সেদিন তার সাথেই একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ঢাকায়।
সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা বন্ধুরা জানান, উত্তরায় তাদের বহরে প্রথমে হামলা করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। এক পর্যায়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে জুয়েল সামনে চলে যান।
তারা জানান, সেদিন যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। পরে তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখে। একপর্যায়ে তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখেন তারা।
টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনে সহিংসতা, গ্রেপ্তার ১৬৪টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনে সহিংসতা, গ্রেপ্তার ১৬৪
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন জুয়েলের স্বজন এবং সহযোগীরা। তারা চান জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এই ঘটনায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরসহ আহত হন আরও অনেকে। তারা গাজীপুর, টঙ্গী, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :