রেমালের পর খাবার পানির সংকটে ও মশার চরম উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বণ্যপ্রানী লোকালয়ে চলে আসছে। গত তিন দিনে ৩টি হরিণ নদী পার হয়ে লোকালয়ে চলে আসে। স্থানীয়রা এ হরিণগুলোকে আবার বনে ফিরিয়ে দিয়েছেন। শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে আসে দুটি হরিণ।
সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী রক্ষায় ওয়াইল টিমের শরণখোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলম হাওলাদার জানান, হরিণ দুটি বগী-শরণখোলা ভারাণী নদী সাঁতরে গ্রামে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার টিমের সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলে একটি হরিণ ধরে। রাতেই সেটি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনের বনরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য হরিণটি ধরার চেষ্টা করলে সেটি নিজেই নদী সাঁতরে সুন্দরবনে চলে যায়।’
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক বলেন, সুন্দরবনের বাঘ-হরিণসহ বণ্যপ্রাণী কূলের এবং বনজীবীসহ স্টাফদের ব্যবহারের মিষ্টি পানির ৮০টি পুকুরের অধিকাংশ রেমালের প্রভাবে লবণাক্ত হয়ে গেছে। পুকুরের লবণাক্ততা দূর করতে সেচ দিয়ে পানি অপসারণ করা হয়েছে। কেননা পুকুরগুলো লবণাক্ত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় সেগুলো এখন আর বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনে অবস্থানরত বনকর্মীদের ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
একুশে সংবাদ/ জ.ক/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :