AB Bank
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসার পর জানা গেল তিনি ভুয়া চিকিৎসক!


৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসার পর জানা গেল তিনি ভুয়া চিকিৎসক!

নেত্রকোনার মদনে শংকর দাস (২৮) নামে এক ভুয়া মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। তিনি মদন পৌর সদরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন। শনিবার (৪ মে) সকালে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে শংকর দাসকে আটক করে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায় ক্ষুব্ধ জনতা।

স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের কাইয়ূম জানান, ৭ মার্চ থেকে এ যাবত আমাদের ক্লিনিকে সাধন কুমার মন্ডলের বিএমডিসি রেজি: নং ব্যবহার করে ৩৩৫ জন রোগী দেখেন শংকর দাস। উনাকে শুরু থেকেই কাগজপত্র দেখাতে বলে আসছি। তিনি একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েছেন। আমরা সার্চ করে দেখলাম উনি যে রেজি: নাম্বার ব্যবহার করছেন উনার ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে শংকরকে বলা হলে উনি আমাদের আগের ছবি তোলা বলে জানান। আমরাও উনার কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছি।

মদন হাসপাতালে আরএমও ডা. তায়েব হোসেন জানান, তিনি কোনো চিকিৎসক নন। তিনি একজন প্রতারক। তার কথায় বিষয়টি প্রমাণিত। মেডিসিন, মা ও শিশু, চর্ম, যৌন রোগ অভিজ্ঞ ডা. সাধন কুমার মন্ডলের নাম ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করেছেন তিনি। তিনি কোনো মেডিকেল কলেজের ছাত্রও নন।

শংকর দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলায়। সুমেশ দাসের ছেলে আমি। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করি। ভুয়া পদবি ও ঠিকানা ব্যবহার করায় আমার ভুল হয়েছে। আমার টাকার সমস্যা ছিল, তাই আমি এ কাজ করেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসক নই। স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা আমার মতামত ছাড়াই তারা প্যাড ছাপিয়েছে।

মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, যার নাম ও পদবি ব্যবহার করে শংকর দাস চিকিৎসা চালিয়েছেন তিনি চট্টগ্রাম থেকে মদন থানার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। উনার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া জানান, শংকর দাস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রকৃত সনদধারী মামলা করবেন।

 

একুশে সংবাদ/যু.র/সা.আ

Link copied!