AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বরেন্দ্রে সেচের পানির অধিকার ও ভূমি জটিলতা দূরীকরণ দাবি রক্ষাগোলার


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:৪২ পিএম, ২ মার্চ, ২০২৪
বরেন্দ্রে সেচের পানির অধিকার ও ভূমি জটিলতা দূরীকরণ দাবি রক্ষাগোলার

“খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বরেন্দ্র-এর সেচের পানির অধিকার এবং ভূমির জটিলতা দূর করুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন সমূহের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিসিবিভিও-রাজশাহীর বাস্তবায়নে, ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড, জার্মানীর সহায়তায় ও রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির আয়োজনে আজ শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলাধীন রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানিকতার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতসহ জাতীয় পতাকা  ও রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কার সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী মো: আরিফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিসিবিভিও’র সভাপতি ও সাবেক রেজিস্ট্রার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর আব্দুস সালাম।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রক্ষাগোলা মডেলের গবেষক ও সিসিবিভিওর সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী প্রধান সারওয়ার-ই-কামাল স্বপন, জেলা পরিষদের সদস্য ও গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুনন্দন দাস রতন, গোদাগাড়ী উপজেলা উরাও দিঘরী রাজা পরিষদের রাজা নিরেন খালকো, মাহলে দিঘরী বাইশি প্রধান সিষ্টি বারে, পাহাড়িয়া বাইশি প্রধান রঘুনাথ পাহাড়িয়া, দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, গোদাগাড়ী মহিলা লীগের সম্পাদক কৃষ্ণ দেবি।

বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিটি রক্ষাগোলা সংগঠনের প্রতিবেদন-২০২৪ উপস্থাপন করেন সংগঠনসমূহের নেতা-নেত্রীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন পাথরঘাটা রক্ষাগোলা  গ্রাম সমাজ সংগঠনের মোড়ল মানিক এক্কা।

আলোচনা পর্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ রক্ষাগোলা সংগঠনের মাধ্যমে একতাবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ সেচের পানি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তা প্রতিরোধে আন্তরিকতার সহিত প্রচেষ্টা চালাবে এবং গভীরনলকূপ কেন্দ্রিক প্রভাবশালী মহলের দুর্নীতিকে প্রতিহত করবে।”

অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর মানুষগুলো নিজেদের প্রচেষ্টায় রক্ষাগোলা সংগঠন অসামান্য এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। তবে এটা সত্য যে, যতদিন বাংলাদেশে এই ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর  জনগণের অধিকার কার্যত প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে ততদিন তাদের সার্বিক উন্নয়ন অপূর্ণ রয়ে যাবে। তাই, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অধিকার অর্জনের জন্য এসকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনজাতির মানুষকে তাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম ও ঐক্য অব্যাহত রাখতে হবে। নিজেদের অধিকার নিজেদেরকেই অর্জন করতে হবে; আর এদেশের অধিকাংশ মুক্তমনা মানুষ তাদের পাশে দাঁড়াবেন।

রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন সমূহের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৪-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিসিবিভিও-রাজশাহী’র “রক্ষাগোলা মডেল” অনুসরণ করে ৫০টি গ্রামের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তাসহ দারিদ্র দূরীকরণে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এই সকল গ্রামের জনগণ গ্রামভিত্তিক সমাজ সংগঠন পুনর্গঠিত করেছে, স্ব-নির্ভর খাদ্য-নিরাপত্তা ব্যাংক ও সামাজিক তহবিল গড়ে তুলেছে, গড়ে তুল্ছে নিজেদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের অবকাঠামো, পরিবেশ রক্ষা, দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং এর পাশাপাশি স্থানীয় সম্পদ ও সরকারী পরিসেবা প্রতিষ্ঠান সমূহকে কাজে লাগিয়ে ভূমি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করছে।

প্রতিবেদনে আরো জানানো হয় গোদাগাড়ী উপজেলাধীন সর্বমোট ৫০ টি গ্রামে বর্তমানে ১৮৮৯টি পরিবারে ২৩৯২ জন নারী,২১১৫ জন পুরুষ, ১৫৮২ জন মেয়ে শিশু ও ২০২৬ জন ছেলে শিশু, সর্বমোট ৮১১৫ জন মানুষ সংগঠিত হয়েছে। গ্রামগুলিতে উঁরাও, সান্তাল, রাজুয়াড়, পাহাড়িয়া, মুন্ডা, রায়, হাজরা, মাহালে, গড়াইৎ নৃজাতিগোষ্ঠীর বসবাস।

গ্রামগুলোতে এপর্যন্ত সর্বমোট সঞ্চিত চাউলের পরিমাণ ৮৮ লাখ ১৯ হাজার ৯৪৮কেজি, ধান ৯৯ হাজার ৯৬১ কেজি । সময় উত্তীর্ণ অতিরিক্ত মুষ্টি চাউল ও ধান বিক্রয়সহ প্রকল্প ভিত্তিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে এপর্যন্ত সর্বমোট সামাজিক মূলধণ সঞ্চিত হয়েছে ১ কোটি লাখ ৫৩ হাজার ৯৫৬ টাকা।

জানুয়ারী-ডিসেম্বর’২৩ সময়কালে গ্রামের সকল পরিবারই বছরে কমপক্ষে দুইবার খাদ্য ও অর্থ সহায়তা নিয়েছে যার পরিমাণ চাউল ১৬ হাজার ৭০১ কেজি ও ৪৯৫০৯৫৫ টাকা যা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও পারিবারিক অন্যান্য প্রয়োজনে।


একুশে সংবাদ/আ.ব.প্র/জাহা
 

Link copied!