AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পরীক্ষামূলক রঙিন ফুল কপির চাষ: আশানুরূপ ফল পেয়ে খুশি তরুণ চাষি মোস্তাক


Ekushey Sangbad
কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
০২:৪৮ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
পরীক্ষামূলক রঙিন ফুল কপির চাষ: আশানুরূপ ফল পেয়ে খুশি তরুণ চাষি মোস্তাক

কোটচাঁদপুরে রঙিন ফুল কপির পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে। আশানুরূপ ফল পেয়ে খুশি তরুণ অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র চাষি মোস্তাক আহমেদ (২৫)। রঙিন ফুল কপির চাষ দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমছে ওই ফসলি জমিতে। লেখাপড়া শেষ করে ভাল কিছু না হলে চাষেই ফিরতে চান তিনি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার শিবনগর গ্রামের ৩য় বর্ষের ছাত্র চাষি মোস্তাক আহমেদ (২৫)। সে  ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সেলিমের ছেলে। পড়ালেখার পাশাপাশি চাষ করেছেন ১৩ বিঘা জমি। যার মধ্যে রয়েছে কলা, ধান, সরিষা ভুট্টা ও মালটা। 

এরমধ্যে ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন,রঙ্গিন ফুল কপির। এই প্রথম কোটচাঁদপুরে পরিক্ষা মূলক ভাবে চাষ হয়েছে রঙিন ফুল কপি। আশানুরুপ ফল পেলে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে এ চাষ সম্প্রসারন করবেন বলে জানিয়েছেন চাষি মোস্তাক আহমেদ( ২৫)।

মোস্তাক বলেন, ইউটিউবে রঙিন ফুল কপির চাষ দেখে অনুপ্রেণিত হয়ে চাষ করেছিলাম। তবে সেই চারার অধিকাংশ মারা যায়। এরপর কোটচাঁদপুর কৃষি অফিসের সহায়তায় আবারও ঘুরে দাড়ান। রোপন করেন রঙিন ফুল কপির।

মোস্তাক বলেন, ২০ শতাংশ জমিতে ২ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটা মূলত ৭০ দিনে ফসল। ৯০ দিনের মধ্যে কাটা সম্পন্ন হয়ে যায়। দুই জাতের কপি হয়েছে জমিতে যার মধ্যে ভ্যালেনটিনা ক্যারোটিনা। বর্তমানে প্রতি পিচ কপি বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, লেখাপড়া শেষ করে চাকুরীর জন্য খুজবো। যদি ভাল কোন কিছু না হয়, তাহলে চাষে আছি চাষেই থাকবো।

জানা যায়, ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে ছোট মোস্তাক আহমেদ। সে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র। নিজস্ব জমি ৬ বিঘা থাকলেও চাষ করেছেন ২ বিঘা জমিতে। আর সব জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন মোস্তাক।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, এ বছর কোটচাঁদপুরে ৫০ হেক্টর জমিতে ফুল কপি আর ৪০ হেক্টর জমিতে বাঁধা কপির চাষ হয়েছিল। তবে রঙ্গিন কপির চাষ ছিল মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে। তিনি বলেন, মোস্তাক আহমেদ নামের ওই চাষি কিছু চারা কিনে রোপন করেছিল। সে গুলো নস্টো হয়ে যায়। পরে আমরা তাকে চারা, সার, প্রশিক্ষনসহ চাষের উপকরনও সরবরাহ করেছি। এটা নিঃসন্দেহে অন্য কপির তুলনায় লাভজনক। কারন অন্য কপি একটা ১৫/২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সেখানে রঙিন কপি প্রতি পিচ ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি করছেন ওই চাষি।

 

একুশে সংবাদ/স.কু.উ/সা.আ

 

Link copied!