ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়ক থেকে ডাকাতি খুন ছিনতাই সহ ২২ টি মামলার দুই ডাকাত সরদারকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাংগা থানা পুলিশ।
ডাকাতরা হচ্ছে - বরগুনা জেলা সদরের বালিয়াতলী পরীরখাল গ্রামের মৃত্যু খানজে আলি আকনের ছেলে দুর্ধর্ষ ডাকাত সরদার মোঃ শাহ আলম আকন ওরফে কালু (৩৫) ও বরগুনা পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ঘুটাবাছা এলাকার মৃত্যু হাতেম আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫০)।
প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, গত পরশু রবিবার বিকালে ডাকাত দল একটি মাইক্রো নুহা (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৫৭০১) যাত্রী ভাড়ায় নেওয়ার জন্য ভাঙ্গা হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে যাত্রী ডাকতে থাকে। এ সময় বাদীর ভাই শহিদুল কাজী ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওদের মাইক্রোতে ওঠে। ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোতে থাকা ৬ জন মিলে শহিদুল কাজী কে চোখ হাত পা বেঁধে বেদম প্রহার শুরু করেন। পরে তাকে জীবননাশের ভয় দেখিয়ে তার পরিবারকে শহিদুল কে দিয়ে ফোন করে বিভিন্ন কৌশলে ৪৩ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় ডাকাত দল। আরো পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করলে শহিদুলের পরিবারের লোকজন ভাঙ্গা থানাকে অবহিত করেন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ মোবাইল ফোনের প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাত দলের অবস্থান নির্ণয় করেন। পরে ওদের ধাওয়া করে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকা থেকে গতকাল সোমবার দুপুরে দুই ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন। অন্য চার ডাকাত পালিয়ে যায়।
ডাকাতদের দেওয়া তথ্যমতে শহিদুল কে পুলিয়া এলাকা থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেন পুলিশ।
ডাকাতের নিকট থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, দেশীয় অস্ত্র সহ নগদ ২৯ হাজার টাকা জব্দ করেন।
এ ঘটনায় ভাংগা থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম জানান, ডাকাত চক্রটি আন্তজেলার পেশাদার দুর্ধর্ষ ডাকার দল। এদের বিরুদ্ধে সারাদেশের বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি, ছিনতাই সহ ১ নং আসামির নামে ২২ টি ও ২ নং আসামির নামে ৮টি মামলা রয়েছে। বহুদিন ধরে এরা সড়কে ডাকাতি করে আসছে। এদের ধরতে আমাদের পুলিশ তৎপর ছিল। অনেকদিন পর পুলিশের জালে আটকা পড়ে। এরা পেশাদার ডাকাত দল।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :