ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন জনগুরুত্বপূর্ণ ভালুকা-বিরুনীয়া বাজার সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকদিনের বর্ষণে বিরুনীয়া ইউনিয়নের কংশেরকুল গ্রামের প্রয়াত সাংবাদিক বাদল আচার্যের বাড়ির পাশে ওই সড়কের প্রায় ২ শ, মিটার অংশ কমপক্ষে ১০ ফুট গভীরে বসে গেছে।
এতে বন্ধ হয়ে গেছে ওই সড়ক হয়ে বিরুনীয়া বাজারের মালবাহী যানচলাচল। পাশাপাশি বিঘ্নিত হচ্ছে অন্যান্য যানের স্বাভাবিক চলাচল। বসতবাড়ি দেবে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ওই স্থানের কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ভালুকা-বিরুনীয়া বাজার সড়কটিতে মিলের শ্রমিকবাহী বাস ও বেশ কিছু মালবাহী ট্রাকের পাশাপাশি দেড় শতাধিক সিএনজিচালিত অটোটেম্পু, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন বেশ কয়েকবার যাতায়াত করে। সড়কটির বৃহৎ অংশের পাশ দিয়ে ভালুকার পূর্বে সীমান্তবর্তী সুতিয়া নদী প্রবাহিত। ঘটনাস্থলের কোনো কোনো অংশে সড়কটির পাকা অংশের পুরোটাই বসে গেছে এবং তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহাম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।সরেজমিন গেলে ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সিএনজিচালক জহিরুল, ইমরান, মাসুমসহ অনেকেই জানান, কংশেরকুল গ্রামের তপন ডাক্তারের বাড়ির পাশে ভালুকা বিরুনীয়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় তারা যথেষ্ট আতঙ্ক নিয়ে এবং গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে ওই স্থান অতিক্রম করেন। কয়েকটি পরিবার তাদের বসতবাড়ি নিয়ে আশঙ্কায় আছেন।
বিরুনীয়া বাজার সমিতির সভাপতি রাইস মিল মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভালুকা-বিরুনীয়া বাজার সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কংশেরকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, সড়ক ধসে যাওয়া স্থানের কাছাকাছি আমার বিদ্যালয়ের অবস্থান। প্রায় তিন বছর আগে বিদ্যালয়ে পাশের ওই সড়কটি বেশ কিছু অংশ ধসে যায়। স্থানটি মেরামত করার পর আবারও তা বসে গেছে। এখন ওই স্থান দিয়ে যান চলাচল করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক বসে যাওয়ার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়কটির জন্যে নতুন নকশার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন। নতুন নকশা পাওয়ার পর সড়কের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহাম্মেদ জানান, সড়কের ওই অংশে ড্রাম প্যালাসাইটিং করে আপাতত যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলজিইডি বিভাগ জনস্বার্থে দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটির সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।
একুশে সংবাদ/তা ক/স ক