ফরিদপুরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আসামি আব্দুর রব মিয়াকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আব্দুর রব জেলা শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত নারীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তিতে রাজা মিয়ার বাড়ি আছে। তবে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সেই বাড়িতে থাকেন তাঁর ছোট ভাই আব্দুর রব। অনেক আগে সন্তান নিয়ে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। কিছুদিন আগে রাজা মিয়ার স্ত্রী মাজেদা পারভিন (৪৩) ও ছেলে রুহুল আমিন গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
রুহুল জানান, তাদের কাছে ২২ শতাংশ জমি বিক্রি করেছিলেন আব্দুর রব। অনেক আগেই সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘরে ঢুকে মাজেদার কাছে জমি বিক্রি বাবদ আরও কিছু টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে না চাওয়ায় হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন আব্দুর রব।
রুহুল বলেন, ‘এ সময় আমি আরেক ঘরে নামাজ পড়ছিলাম। দরজার সামনে এসে আমাকেও চাপাতি দিয়ে কোপাতে যান চাচা। তখন আমি ঘর আটকে দিলে হাতের চাপাতি পুকুরে ফেলে তিনি চলে যান। এরপর মাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চাচাকে (আব্দুর রব) একমাত্র আসামি করে রাতে মামলা করি।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এতে দেখা যায়, দোকানে বসে কলা খাচ্ছেন আব্দুর রব।
ভাবিকে হত্যার পর পালাননি কেন–ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তির এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওই ব্যাটা, আমি খুন করছি পলাবো ক্যা? পলাবো না, আমি শাহেনশাহ।’
কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, ফেসবুকে ভিডিও দেখে আজ দুপুরে কমলাপুরের লালের মোড় থেকে আব্দুর রবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :