গল্প নয় সত্য। এক গরু থেকে আজ তাঁর পালে ৪৫ গরু। ৩০ বছরে গরু বিক্রির টাকা দিয়ে বানিয়েছেন বাড়ি, মাঠে কিনেছেন আবাদি জমি, ২ ছেলেকে পাঠিয়েছেন বিদেশে। এখনও পালে রয়েছে ছোট বড় ৪৫ টি গরু। এ সফলতার গল্প ৫৫ বছর বয়সি বিমল প্রামানিকের।
তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। গরু পালন করেই জীবনের শেষ সময় টুকু কাটাতে চান বলে জানিয়েছেন বিমল প্রামানিক।
জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের ঘোষপাড়ার মৃত কার্তিক প্রামানিকের ছেলে বিমল প্রামানিক( ৫৫)।

কার্তিক প্রামানিকের ছিল ৮ ছেলে আর ৮মেয়ে। এর মধ্যে বিমল ছিল তাঁর মেজো ছেলে। ভাই-বোনের অনেকে মারা গেছেন। জীবিত আছেন বিমল প্রামানিক সহ আরেক ভাই।
তাঁর ছোট ভাই জাত ব্যবসা আকড়ে ধরে থাকলেও বিমল নেমেছেন গরু পালনে। সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় কোটচাঁদপুরের মামুনশিয়া মাঠে। ওই সময় তিনি মাঠে গরু চড়াচ্ছিলেন। গরুর কথা জিজ্ঞেস করতেই বিমল প্রামানিক বলেন,সালটা মনে নাই।
তবে ওই সময় আমার বয়স ২৫ বছর হবে। বিয়ে করি ঝিনাইদহের বনকিরা গ্রামে। শ্বশুর ছিলেন নারান প্রামানিক। বিয়ের পর মেয়েকে কানের দুল বানিয়ে দিতে গরু বিক্রি করার কথা বলেন। ওই সময় আমি ২৫ শ টাকা দিয়ে গরুটি কিনে ছিলাম। এরপর থেকে গরু পালন শুরু।
তিনি বলেন, আমাদের জাত ব্যবসা ছিল চুল কাটা। গরু কেনার পর আমি এক বেলা চুল কাটতাম আর আরেক বেলা গরু পালন করতাম। গেল ৩০ বছরে সেই গরু থেকে ৩০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছি। ওই গরু বিক্রির টাকা দিয়ে বানিয়েছি বাড়ি,মাঠে কিনেছি আবাদি জমি, ২ ছেলেকে পাঠিয়েছি বিদেশে।
বিমল প্রামানিক সংসার জীবনে তিন সন্তানের জনক। গরু পালন করে জীবনের বাকি সময় টুকু পার করতে চান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এ ধরনের গরু পালন কারীর নাম আমার জানা নাই।
কিছুক্ষন পর খোজ নিয়ে বলেন,তিনি ছয়খাদা ডেয়রি পিজির সদস্য। নতুন মানুষ হওয়ায়, সব তথ্য আমার কাছে নাই।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় তেমন কোন খামার নাই। তবে পারিবারিক ভাবে অনেকে গরু পালন করে থাকেন। এ উপজেলায় ৪৬ হাজার ৪ শ ৩২ টি গরু আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/সু.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :