নেত্রকোনার মদনে ইউপি সদস্য তাজু মিয়ার(৩৬) বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তাজু মিয়াকে আসামী করে মদন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। বুধবার (৩০ জুন) গভীর রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাজু মিয়া কাইটাইল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও জাওলা গ্রামের মৃত রাশিদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানাযায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ভাইয়ের বাড়িতে প্রায় সময়ে তাজু মেম্বার যাওয়া-আসা করতো। অন্য দিনের মতো বুধবার(৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে আসে আবার কিছুক্ষণ পড় চলে যায়। ওই রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী কোপা-আমেরিকার ফুটবল খেলা দেখতে জাওলা বাজারে চায়ের দোকানে চলে যায়। এ সুযোগে রাত আনুমানিক ১ টার সময় তাজু মেম্বার ওই গৃহবধূর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় ওই গৃহবধূ বাধা দিলে অস্ত্র (ঘরে থাকা দা)নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। তার ডাক-চিৎকারে লোকজন জেগে গেলে তাজু মিয়া পালিয়ে যায়। এ নিয়ে গৃহবধূর স্বামী বৃহস্পতিবার(১ জুলাই) দুপুরে কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল এর নিকট বিচার চায়। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে গৃহবধূ মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার(১৪ জুলাই) নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইন ৯ এর ৪(খ) ধারায় মদন থানায় একটি মামলা রজু হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, গত রাতে (বুধবার) আমার স্বামী খেলা দেখার জন্য জাওলা বাজারে চায়ের দোকানে চলে যায়। এ সুযোগে তাজু মেম্বার আনুমানিক রাত ১ টার সময় আমার বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। জোড়পুর্বক আমার সাথে অনৈতিক কাজ করতে চাইলে আমি ডাক চিৎকার শুরু করি। তখন আমার ঘর থাকা দা নিয়ে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। চিৎকারে আমার ছেলে ঘুম থেকে উঠে পড়লে বিছানার নিচে থাকা (জমি কিনতে রাখা) টাকার ব্যাগ নিয়ে সে পালিয়ে যায়। আমি এর ন্যয় বিচার চেয়ে মামলা করেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, তাজু মেম্বার চরিত্রহীন। গত বছর গ্রামের আরেক গৃহবধূকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে গ্রামের মাতাব্বরগণ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি দামাচাপা দেয়। আবার সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাজু মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এমন কোনো কিছু করিনি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) উজ্জল কান্তি সরকার জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার(১৪ জুলাই) নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইন ৯ এর ৪(খ) ধারায় মদন থানায় একটি মামলা রজু রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছে।
একুশে সংবাদ/সাকের/প
আপনার মতামত লিখুন :