২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১৩ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে চুক্তি করে কাতালান ক্লাব। বার্সেলোনার টেনিস ক্লাবে একটি ন্যাপকিনে হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক চুক্তি। এবার সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো আকাশছোঁয়া দামে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জানা গিয়েছিল, মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপার মার্চে নিলামে তুলবে ব্রিটিশ নিলামপ্রতিষ্ঠান বোনহামস।
শুক্রবার (১৮ মে) ব্রিটিশ অকশন হাউস বোনহামসের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেল মেসি-বার্সেলোনার সেই ঐতিহাসিক প্রথম চুক্তির প্রমাণপত্র। খবর বিবিসি
ব্রিটিশ নিলাম প্রতিষ্ঠান ধারণা করেছিল ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে এর দাম। কিন্তু তাদের চমকে দিয়ে এই ন্যাপকিনের দাম উঠেছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০১ টাকা)। নিলামে এর ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ডলার।
বার্সা ও মেসির মধ্যকার সেই ন্যাপকিন পেপারে করা চুক্তিতে লেখা ছিল, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।
এ সময় নিজের তত্ত্বাবধানে মেসির যত্ন নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রেক্সাস। পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাস জানিয়েছিলেন, দুই পক্ষ মৌখিকভাবে সম্মত হওয়ার পর হাতের কাছে আর কিছু ছিল না। পরে হোটেলে ন্যাপকিনে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে র্জজকে (মেসির বাবা) রাজি করিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কাতালান ক্লাবটির হয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০ বার লা লিগা শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন মেসি। এরপর ২০২১ ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। গত বছর ফরাসি ক্লাবটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। এখন সেখানেই আবাস গড়েছেন এই আলবিসেলেস্তে মহানায়ক।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :