চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে, এমনকি ভবনের একটি অংশের ছাদ ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে।
দিনভর বৃষ্টিপাতের পরও আগুনের তীব্রতা কমেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার পরও ঘটনাস্থল থেকে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন দেখা যায়, যা আশপাশের ভবনগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
দুপুর ২টার দিকে ইপিজেড এলাকার ৫ নম্বর কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জিন হং মেডিকেল নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে। ফলে দুটি কারখানাই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগুন লাগার পরপরই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে যোগ দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করছে ১৯টি ইউনিট—এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি এবং নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবনের ভেতরে সুতা ও কাপড়জাত দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে।
প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে