AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঢাকার যানজট ও নগর পরিবহন আতুড় ঘরে!


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১২:২৭ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
ঢাকার যানজট ও নগর পরিবহন আতুড় ঘরে!

অসহনীয় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে

যানজটে দৈনিক আর্থিক ক্ষতির দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা

জ্বালানি পুরছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের এক গবেষণা বলছে, যানজটের কারণে ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ ধীরগতির শহরে পরিণত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে কর্মঘণ্টা ও জ্বালানির অপচয় হচ্ছে, বাড়ছে বায়ুদূষণও। গবেষণার সূচকে ঢাকার পয়েন্ট ০.৬০। পয়েন্ট ০.৫২ নিয়ে পরের অবস্থানে নাইজেরিয়ার লাগোস।
 

যানজট নিরসনে ঢাকায় কত লোক বাস করবে তা নির্ধারণ করতে হবে‍‍`
আর বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় বলা হয়েছে, অসহনীয় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। ঢাকায় ৭৩টি মোড়ে যানজটে আটকা থাকছে যানবাহন। একারণে দৈনিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।  জ্বালানি পুরছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার।

ঢাকা যানজটের শহর হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। অপরিকল্পি নগর ব্যবস্থাপনাই এজন্য দায়ী বলে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা ও গবেষণায় ওঠে এসেছে। ঢাকায় যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে, স্বল্পগতির যানবাহন। যানজটের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে রিকশা।

ঢাকায় যানজটের আরও একটি কারণ হলো, জায়গায অভাব। একটি পরিকল্পিত শহরে যানবাহন চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২৫ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন হয়। ঢাকায় যানবাহন তথা রাস্তার জন্য জায়গা হচ্ছে মাত্র ৬ শতাংশ। এমন প্রেক্ষিতে প্রকট যানজট হওয়া স্বাভাবিক।  

২০২০ সালে বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়,  সড়কে ব্যস্ত সময়ে (পিক টাইমে) চলাচল করা যানবাহনের গড় গতি ছিল ঘণ্টায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার। দু’বছরের মাথায় ২০২২ সালে  গতি নেমে এসেছে প্রায় ৪.৮ কিলোমিটারে। যা কিনা একজন সুস্থ মানুষের হাঁটার গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় বেশি।
যানজটের তাৎক্ষণিক সমাধান ৩ উদ্যোগে
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা নগর পরিবহন সার্ভিস চালু করে যাত্রীপরিষেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ)। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হয়নি। আটকে আছে পাইলট প্রকল্পেই। আর্থিক ক্ষতির অজুহাতে সরে গেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ-চালিত ১০০টি নতুন বাস। তবে বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তাবায়নে অনুমোদনহীন বাস অপসারণ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। গণপরিবহনের সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাস বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।


ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রী হয়রানি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় বাস রুট রেশনালাইজেশন। কিন্তু চালু হওয়া তিন রুটেই হাটু গেড়ে বসেছে নগর পরিবহন। ১৫০টি বাস চলার কথা থাকলেও কাগজে-কলমে তা নেমে এসেছে ৮৫ তে।


বাস কমার কারণ হিসেবে আর্থিক ক্ষতি ও কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবকে দায়ী করছে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। আর্থিক ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও অবহেলার অভিযোগ নাকচ করেছে বিআরটিসি।

এ নিয়ে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খোকন সংবাদমাধ্যমকে বলেন,  পরিবহনের কাউন্টার খরচ ও টিকিট খরচটা যখন থেকে বিআরটিসি বহন করছে, তখন থেকে আমাদের লোকসানটা কমেছে, তবে লোকসান আগে বেশি হত।
যানজটের তীব্রতায় ঢাকা বিশ্বে পঞ্চম
এ প্রসঙ্গে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, লাভ-লোকসানের হিসেবটাই সবসময় মুখ্য নয়, সেবাটাই মুখ্য। কিছু রুটে লাভ কম হয়, কিছু রুটে বেশি। আমরা এভাবে লাভ-লোকসানের একটা ভারসাম্য রাখতে পারি। তবে বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থার তো সে সুযোগটা নেই।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনটি রুটে অন্য কোম্পানির বাস এখনও বন্ধ হয়নি। তবে অন্য কোম্পানির বাস বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি জানিয়েছে ডিটিসিএ। সংকট নিরসনে বেসরকারি নয়, সরকারি উদ্যোগের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞ ড. আদিল মুহাম্মাদ খান বলছেন, পরিবহন ব্যবস্থাপনা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেই ভাল হয়। বেসরকারি পরিবহনগুলোকে এ ক্ষেত্রে অন্য লেভেলে কাজে লাগানো যেতে পারে।  


একুশে সংবাদ/আ ভ/স ক 
 

Link copied!