যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের ৩২০ নং কক্ষ থেকে সৌরভ কুমার সরকার নামের একজন শিক্ষার্থীর একটি ল্যাপটপসহ নগদ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার(১৫ আগস্ট ) আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অধ্যায়নরত সৌরভ কুমার সরকার।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৫ আগষ্ট দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতোই রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা শেষ করে আমার ল্যাপটপ কিবোর্ড ও চার্জার সহকারে ব্যাগে সবকিছু গুছিয়ে রিডিং রুম থেকে মুন্সি মেহেরুল্লাহ হলের ৩২০ নং রুমে আনুমানিক সাড়ে ৪ টার দিকে প্রবেশ করলাম। ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে প্রায় সাড়ে ৫ টা বেজে যায়। আমার রুমমেট সহ সবাই একসাথেই ঘুমাই প্রায় সময়। ঘুমানোর পর আমি যখন সকাল সাড়ে ১১ টায় ঘুম থেকে উঠি তখন হঠাৎ টিউশনের স্টুডেন্টের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে গিয়ে টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপের ব্যাগটি তখন খুজে পাচ্ছিলাম না। আমি আমার সমস্ত রুম অনেক খোজাখুজি করেও ল্যাপটপটা খুজে পাওয়া গেলো না। আমার ব্যাগে ল্যাপটপসহ ৩০০০ টাকা সমমূল্যের ল্যাপটপের চার্জার, ফোনের চার্জার ছিলো যেখানে সবকিছু মিলিয়ে আনুমানিক ৭৫০০০ টাকা সমমূল্যের জিনিস ছিল। ঘটনাটি হলের প্রভোস্ট স্যার, প্রক্টর স্যারদের জানানোর পর স্যাররা আমাকে রবিবার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করবেন বলে আশ্বাস দেন। স্যারদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ স্যাররা যেন অতি দ্রুত ঘটনাটি সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করে সাথে ভবিষ্যতে যেন এইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা যেন স্পষ্ট বিবৃতি প্রদান করেন। আগামী ১৮ আগস্ট তারিখে আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হবে। এমন অবস্থায় আমি মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত।
মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুর রউফ সরকার বলেন, চুরির ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক সহকারী প্রভোস্টরা গিয়ে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে। আগামীকাল এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ঐ শিক্ষার্থীর সামনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা তাই এই সময়ে তার এমন আর্থিক ক্ষতি খুবই দুঃখজনক। হলের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুতই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এমন ঘটনার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শিক্ষার্থীরা।
একুশে সংবাদ/এ.জে