AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুবির প্রধান ফটকের সামবে জলাবদ্ধতা; দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা


Ekushey Sangbad
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
০৫:৫১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
কুবির প্রধান ফটকের সামবে জলাবদ্ধতা; দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রধান ফটকের সামনে এবং ছাত্রী হলগুলোর পাশের সড়কে পানি জমে বেহাল দশা। গাড়ি চলাচলের সময় ছিটকে আসে শরীর লাগে কাদা। এই সমস্যা দিন দিন শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পানির কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এবং ছাত্রী হলগুলোর আশপাশে রাস্তার পাশে জমে থাকা পানির কারণে কাদা সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রধান ফটকের সামনের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করছে। একইভাবে, সুনীতি শান্তি হলের দক্ষিণ পাশের দেয়াল চুইয়ে পানি বের হয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল পর্যন্ত রাস্তার পাশে সব সময় কাদা হয়ে থাকে, যা গাড়ি চলাচলের সময় পথচারীদের গায়ে ছিটকে পড়ে ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সঙ্গে স্থাপিত পানির ফোয়ারা দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে। তবে ফোয়ারা থেকে একটি পাইপ ক্যাম্পাসের সামনের প্রধান সড়কের দিকে খুলে রাখা হয়েছে যেখান থেকে প্রতিনিয়ত পানি পড়ছে। এই পানির কারণে প্রধান ফটকের সামনের সড়কে সব সময় পানি জমে থাকে, যা পথচারীদের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।

অন্যদিকে, বিগত কয়েক মাস ধরে সুনীতি শান্তি হলের পশ্চিম পাশের দেয়াল চুইয়ে পানি বের হয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল পর্যন্ত রাস্তা কাদায় ভরে আছে। এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের সময় পাশ দিয়ে গাড়ি গেলে কাদা ছিটকে তাদের গায়ে লাগে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের স্বাভাবিক যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কোনো সমাধান না হওয়ায় ভোগান্তি ক্রমশ বাড়ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‍‍`আমাদের ক্যাম্পাসের মেইন গেটের সামনে এমন অবস্থা থাকলে তা দেখতে খুবই খারাপ লাগে। অনেক পর্যটক আমাদের ক্যাম্পাসে আসেন। গেটের সামনে এমন দৃশ্য দেখলে তারা ক্যাম্পাস সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা করতে পারেন। এছাড়া, আমাদের গেটের সামনে সবসময় দোকানপাট বসে এবং গাড়ি চলাচল করে, যার কারণে আমরা সরাসরি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারি না। রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হয়। কিন্তু যদি রাস্তার পাশে সবসময় পানি জমে থাকে, তাহলে আমরা কীভাবে চলাচল করব?‍‍` তিনি আরও বলেন, ‍‍`বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত রাস্তার দুই পাশ পাকা করে দেওয়া। এতে আমাদের চলাচলে সুবিধা হবে এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও অক্ষুণ্ণ থাকবে।‍‍`

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন রুপা বলেন, ‍‍`ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক ও ছাত্রী হলগুলোর আশপাশে পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। কাদা-পানির কারণে ক্লাস বা জরুরি কাজে যাতায়াতে অসুবিধা হয়, যা শারীরিক অস্বস্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য এটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।‍‍`

তিনি আরও বলেন, ‍‍`দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের কোনো স্থায়ী উদ্যোগ দেখা যায়নি। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।‍‍`

 সুনীতি শান্তি হলের দেয়াল চুইয়ে পানি পড়ার সমস্যা নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোসা. শাহিনুর বেগম বলেন, ‍‍`এ বিষয়টি সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে।‍‍`

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহ আলম খান বলেন, ‍‍`ক্যাম্পাস গেইটের পানির কলটি ছাত্রছাত্রীরা হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রায়ই ব্যবহার করে। যদিও নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেয়, তারা সে নির্দেশ মানে না। আবার যদি আমরা কলটি বন্ধ করে দেই, তবে অভিযোগ আসবে যে এতদিন কলটি ছিল, এখন কেন নেই। এ কারণেই এই সমস্যাটি সমাধানে আমরা এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।‍‍`

ক্যাম্পাসের সামনের জায়গাটি বালু বা মাটি দিয়ে উঁচু করার বিষয়ে তিনি জানান, ‍‍`এর আগেও আমরা জায়গাটি মাটি দিয়ে উঁচু করেছি। কিন্তু প্রতিদিন বালু ও পাথরের ট্রাক চলাচলের কারণে ট্রাকের চাপে মাটি নিচু হয়ে যায়, যার কারণে সেখানে পানি জমে কাদা সৃষ্টি হয়।‍‍`

বর্তমানে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‍‍`আমি আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে দেখবো, পানির কলটি বাইরে স্থাপন করা যায় কি না।‍‍`

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!