গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বশেমুরবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে "বঙ্গবন্ধু জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব ২০২৩"। গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞান মেলাটি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এই তিনটি সেগমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতা ছিল প্রজেক্ট শো, ড্রয়িং, অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞানভিত্তিক গল্প লেখা। কলেজ সেগমেন্টে ছিল প্রজেক্ট শো, অলিম্পিয়াড এবং রুবিকস কিউব। বিশ্ববিদ্যালয় সেগমেন্টটি শিক্ষার্থীরা রাঙিয়েছেন পোস্টার প্রেজেন্টেশন, রিসার্স প্রেজেন্টেশন, কেস স্টাডি এবং প্রবলেম সলভিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
রুবিক্স কিউব সেগমেন্টটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। স্বর্ণকলি উচ্চা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীত বালা চ্যাম্পিয়ন হন এই প্রতিযোগিতায়।সায়েন্টিফিক রিসার্চ আইডিয়া প্রেজেন্টেশনে চাম্পিয়ন হন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম। রানারআপ হন বশেমুরবিপ্রবির ই এস ডি বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম হোসাইন। সায়েন্টিফিক পোস্টার প্রেজেন্টেশনে চ্যাম্পিয়ন হন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি দল। দলীয় প্রধান ছিলেন প্রত্যয় চন্দ, দলের অন্য সদস্যরা হলেন মোঃ ফরিদুল ইসলাম এবং মোঃ রাশিদুল ইসলাম রানার আপ হন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদুজ্জামান দিপু। ড্রইং সেগুমেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন বিনা পানি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনাত তাসনিম।
রানারআপ হন খুলনা রংপুর কালিবাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণজিত বালা। এছাড়াও স্টোরি রাইটিং, গুড হ্যান্ড রাইটিং, রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভিং,কেস স্টাডি, অলিম্পিয়াড জুনিয়র (৬ষ্ঠ-৮ম),সেকেন্ডারি (৯ম- ১০ম শ্রেনী), হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ থেকে দ্বাদশ), প্রোজেক্ট শো ( স্কুল ), প্রোজেক্ট শো ( কলেজ) প্রতিযোগিতার যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ হয়েছেন হিমেল সরকার ও আদ্রিতা প্রিয়তা, মৌলি ও মুগ্ধ সরকার, আতিফা সিদ্দিকা ও সৌরভ সেন, হাসিম তালুকদার ও নাইম, মাহিম এবং সৌমিত্র, স্বর্ণজিত বালা ও আবিরুজ্জামান, অর্পন বালা ও অর্পণ বালা, তাকিবর ও জিত রায়, বিপ্লব মোল্লা, শাকিবুল ও অর্ণব বিশ্বাস, অর্পন বালা ও আব্দুল্লাহ আল কাইফ।
খুলনা থেকে সন্তানকে এই মেলায় অংশগ্রহণ করাতে নিয়ে আসা আসা এক অভিভাবক নীতিশচন্দ্র বালার কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিভূত এত সুন্দর আয়োজন দেখে। আমার সন্তান জিতুক বা হারুক তাতে কোন সমস্যা নেই। ওদের সাহস এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগ্রহ বাড়ছে।
বশেমুরবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,তোমরা সব সময় সব কিছু কে কী এবং কেন দিয়ে প্রশ্ন করবে। তাহলে তোমাদের অনেক অজানা জিনিস জানতে পারবে। প্রাণ গ্রুপ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :