AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুবিতে মান না বাড়লেও খাবারের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ


কুবিতে মান না বাড়লেও খাবারের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ

নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় খাবারের দাম নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খাবারের মান বৃদ্ধিতে মনোযোগ না দিলেও খাবারে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করেছে হোটেল মালিকরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রাশাসনিক নজরদারি না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানিরা। তবে প্রশাসন বলছে, কোনো রকম অভিযোগ পায়নি তারা, তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন মামা হোটেলে খাবার উচ্চমূল্যে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তবে হোটেল মালিক মান্নান মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল, জ্বালানী, শ্রমিকের মজুরিসহ দ্রব্যেমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ফলে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মামা হোটেলে প্রায় সব ধরণের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তেহেরি ৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ টাকা করা হয়েছে, পরোটা, সিঙ্গারা-সমুচা ৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ টাকা, পুরি ৫ টাকা থেকে ২টাকা বৃদ্ধি করে ৭ টাকা করা হয়েছে।

 

দুপুরের খাবার তালিকায় দাম বাড়ানো হয়েছে মাছ ও মাংসের। আগের মূল্য থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে রুই মাছ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ৫০ টাকায়, গরুর মাংস ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকায়, বয়লার মুরগির মাংস ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ৬০ টাকায়, সোনালী মুরগির মাংস ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ খাবারের মূল্য আগের চেয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

পার্শ্ববর্তী হোটেল চড়ুইভাতিরও একই চিত্র। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। তবে হোটেল মালিক বলেন, ‘আমার খাবারের মূল্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোনোরকম অভিযোগ নেই। আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে খাবার।’

 

এদিকে হোটেলগুলোতে দাম বৃদ্ধিরর পাশাপাশি অপরিষ্কার- অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না করারও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মাঝেমধ্যে খাবারের মধ্যে পাওয়া যায় চুল ও পোকা। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনাকাঙ্খিতভাবে হয় বলে মন্তব্য করেন৷

 

হোটেলগুলোর খাবারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান অপু বলেন, বর্তমান দ্রব্যেমূল্য যতটুকু না বেড়েছে এ হোটেলগুলা দ্বিগুণ হারে খাবারের মূল্যে বৃদ্ধি করেছে। এতে আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মরি বাঁচি সে বিষয়ে প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনোরকম কার্যকরি ভূমিকা নিতে দেখি না যা সত্যিই হতাশাজনক। প্রশাসনের উচিত ক্যাম্পাসের সামনের হোটেলগুলার খাবারের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেওয়া।

 

একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের মাহমুদ সাকিব বলেন, খাবারের মূল্য অনেক বেশি যা আমাদের সামর্থ্যের বাহিরে। দেশের আর কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের এতো দাম আছে কি জানা নেই।

 

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অর্চি ভৌমিক বলেন, বর্তমানে হোটেল গুলো খাবারের দাম অনেক বেশি রাখছে। যে তেহেরি ৩০ টাকায় বিক্রি হতো সেই তেহেরি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যেখানে মাংসের ছিটাফোঁটা তো নাই শুধু হলুদ রঙের ভাত।

 

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের বাহিরের হোটেলগুলো ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত হওয়ায় আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। কতটুকু শিক্ষার্থীবান্ধন হবে কি হবে না সেটা তাদের বিষয়। আমরা অনুরোধ করতে পারি দাম কমানোর ক্ষেত্রে।

 এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের ক্যাফেটারিয়া খাবারের উপর নির্ভর হতে পরামর্শ দেন। তবে ক্যাফেটারিয়ার খাবার কতটুকু স্বাস্থ্য সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা মিটাতে পারবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মান্নুর সাথে কথা বলেছি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রয়োজন হলে আবার কথা বলব।

 

সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ তবে খাবারের দাম নির্ধারন বিষয়ে জানান ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ৬ মাস আগে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।

 

একুশে সংবাদ.কম/ম.ই/বিএস

Link copied!