AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

করলা চাষে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের মুখে হাসি


Ekushey Sangbad
কৃষি ডেস্ক
০২:১৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
করলা চাষে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের মুখে হাসি

ঠাকুরগাঁও এর কৃষকরা করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চলতি মৌসুমে গতবারের তুলনায় করলার দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলেই তারা করলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পাশাপাশি এবার চাষিরা দামও পাচ্ছেন ভালো। ফলে করলা তেঁতো হলেও এর ফলনে হাসি ফুটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের মুখে।

এখানকার করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও রফতানি হচ্ছে।

দেখা গেছে, সদর উপজেলার রাজাগাঁও, আসাননগর, চাপাতি, রাজারামপুর খড়িবাড়ী, দক্ষিণ বঠিনা, উত্তর বঠিনা, ঝলঝলি, ফরিদপুর, বড়দেশ^রী, ধর্মপুর, বোয়ালিয়া চোপড়াপাড়াসহ রুহিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ চাষি করলার আবাদ করছেন। সাধারণত বছরে এক জমিতেই দুবার করলা চাষ করা যায় বলে জানান চাষিরা।

মোহন কুমার বলেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও করলা চাষে সফল হয়েছি। নেকমরদ, রাণীশংকৈল বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ টন করলা সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১৫ বছর যাবত সবজি চাষ করছি। করলা চষে ভালো ফলন ও অনেক লাভ হয়। এবার ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করেছি। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। এবছর ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো। করলা পাইকারি ৩৫-৪০ টাকা এবং খুচরা ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সদর উপজেলার কয়েকজন পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী বলেন, জেলার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগেও অন্য জেলা থেকে করলা আনতে হতো। কয়েক বছর ধরে এ জেলার উৎপাদিত করলাই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শুরুতে প্রতি কেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ কিংবা ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ করলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বাজার, রোড বাজার ও কালিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে এ করলা।

কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী করিম হোসেন ও আকবর আলী বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলাসহ উত্তরের এখানকার করলার গুনগত মান খুব ভালো। এখাকার করলা ঢাকায় সরবরাহ করে ভালোই লাভ হচ্ছে বলে অনেক বছর যাবত এখান থেকে করলা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আগস্ট থেকে অক্টোবর ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে জমিতে দুবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। মাত্র দেড় মাসে ফলন পাওয়া যায় বলে এ ফসলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। তাই এ জেলায় করলা চাষ দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে চাষিদের পাশে আছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডা. আবদুল জলিল বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬৮৭ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কেজি। এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগামী দিনে এর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এর ফলন আরও ভালো করার লক্ষ্যে উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

একুশে সংবাদ/ বা.স.স/ রখ

 

Link copied!