পাক পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ ।
একুশে সংবাদ : রমজানে রোজাদার ব্যক্তিরা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনাহারে থাকেন। তারা সারাদিন আল্লাহ্র ধ্যানে মগ্ন থাকেন, দুঃস্থদের সেবা করেন, সবাইকে সাহায্য করেন এবং ভাল কাজ করে নেকী লাভ করেন। রমজান মাসে সকলের আচার-আচরণে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আল্লাহ্ যেন তার বান্দাহর রোজা কবুল করেন, এর জন্য মানুষ যথাসাধ্য চেষ্টা করে।
রমজানে মানুষ নিজেদের জীবনধারার ব্যাপক পরিবর্তন করতে পারেন। সকলে নিজেদের পরিবেশের প্রতি আরও বেশি সচেতন হয়। পরিবেশ রক্ষা করা শুধু সামাজিক কাজ নয়, এটি ধর্মের একটি অংশ। আমাদের সকলের উচিৎ আমাদের চারপাশের প্রকৃতি সুরক্ষিত রাখা।
ইসলামের দৃষ্টিতে, পৃথিবীতে জীবনের মান উন্নত এবং একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চয়তা প্রদানের দায়িত্ব মানুষকে দেয়া হয়েছে। কোরআনে আছে, “এখন , দেখ! যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মানুষের উপর পৃথিবীর দায়িত্ব স্থাপন করেছি”।মানুষের পৃথিবীর সংরক্ষণের দিকে কাজ করা উচিত এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করা উচিৎ।
ইসলামী ধর্মের মৌলিক সাহিত্যে খুব স্পষ্টভাবে তা উল্লেখ রয়েছে।সম্প্রতি পরিবেশ বিজ্ঞানের মতে, "পরিবেশগত পদাঙ্ক" ধারণা অনুযায়ী একটি জনগোষ্ঠীতে ভূমি ও পানি এলাকার পরিমাণ অনুযায়ী বর্জ্য নির্গমন এবং শোষণ করে ব্যবহার করা উচিৎ। এর জন্য একটি নিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি দেওয়া উচিৎ যেন ঘন ঘন ব্যবহার না করে সম্পদ নষ্ট করা না হয়।
ইসলাম আমাদের জিনিসের পুনঃব্যবহার করা শিখিয়েছেন।
নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) এর কাছে নবীজী ঘরে কীভাবে থাকেন জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন নবীজী তার জুতা ও কাপর সেলাই করে পরিধান করেন। ঘরের সকল কাজ তিনি নিজে করতে পছন্দ করেন এবং কখনও কোন কিছুর জন্য অভিযোগ করেন না।
আমরা যদি আমাদের ব্যবহার্য জিনিসের পুনঃব্যবহার করা শুরু করি, তাহলে আমাদের দ্বারা তৈরিকৃত বর্জ্যের পরিমাণ কমে যাবে। প্রতিবার নতুন কিছু কেনার চেয়ে আগের জিনিস ব্যবহার করা ভাল। এতে আপনার দরিদ্রতা লোপ পাবে। ঘরের কাজ নিজে করে আমরা যে কোন কিছুর আরও ব্যবহার করতে পারব। নবীজির পদাঙ্ক অনুসরণ করে, আমরা নেকীও লাভ করতে পারব।প্রতিটি মানুষের পরিবেশের উপর খারাপ ও ভাল উভয় প্রভাব বিদ্যামান রয়েছে। মুসলমানদের উচিৎ সমাজ থেকে তাদের খারাপ প্রভাব দূর করে ধর্মের নিয়ম পালন করা।
“পাক পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ”। তাই, রোজাদার ব্যক্তিরা এ সময়ে নিজেদের সর্বাধিক পবিত্র রাখার চেষ্টা করেন। আমাদের আশেপাশের সবকিছু পরিষ্কার করার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি পরিবেশ-বান্ধব হয়ে উঠি। এভাবে শুধু রমজান নয়, সারা বছর আমাদের পরিবেশের প্রতি সুদৃষ্টি বজায় রাখতে হবে।
একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমনি/০১/০৭/১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :