একুশে সংবাদ: বান্দরবান এর রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী ইউনিয়নে শীলবান্ধা ঝর্ণা অবস্থিত। নাফাখুম ও রেমাক্রীর চেয়ে দূরত্বও কম। এ পর্যটন স্পটে অল্প সময়ে সহজে যাওয়া যায়। দূরত্ব কম ও যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন শীলবান্ধা ঝর্ণা ও দেবতাখুম এর সৌন্দর্য্য দেখতে।
রোয়াংছড়ি উপজেলা বান্দরবান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। রোয়াংছড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কচ্ছপতলী ইউনিয়ন। সেখান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পায়ে হেটে গেলেই চোখে পড়বে শীলবান্ধা পাড়া। এই পাড়া থেকে ১০ মিনিটের হাটার পথ গেলে শীলবান্ধা ঝর্ণা।
শীলবান্ধা ঝর্ণা থেকে বের হয়ে তারাছা খালের পাড় ধরে ১৫ মিনিট হেটে গেলেই চোখে পরবে দেবতাখুম এর প্রথম অংশের। সেখান থেকে স্থানীয় গাইডের তৈরি বাঁশের ভেলা বা নৌকা দিয়ে রওয়ানা দিতে হবে দেবতাকুম এর মূল জায়গাটাতে। খাড়া পাহাড়ের উচুঁ খাঁদ আর পাথরের গায়ে বাহাড়ি বুনো ফুল, ছোট ছোট ঝর্ণা ও পানির শব্দ দেবতা কুম দিয়ে খাল পাড় হওয়ার দৃশ্যগুলো মন কেড়ে নেবে সবার।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে বান্দরবান যাওয়া যায়। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্যামলি, সৌদিয়া, এস. আলম, ইউনিক, সেন্টমার্টিন পরিবহন ও হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া যথাক্রমে নন এসি ৫৫০ টাকা ও এসি ৯৫০ টাকা। রাত ৯-১০টায় রওনা দিলে সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন বান্দরবান। এছাড়া ট্রেন বা এয়ারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে বান্দরবান যেতে পারবেন।
বান্দরবান সদর থেকে বাসে করে অথবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে যেতে হবে রোয়াংছড়ি। সকাল ৭ টা – বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোয়াংছড়ির বাস আছে। প্রতিজন ৬০-৮০ টাকা। সময় লাগবে ১ ঘন্টা। সেখান থেকে সিএনজি অথবা চাঁদের গাড়িতে করে ৩০ মিনিট সময় লাগবে কচ্ছপতলী পৌঁছাতে। জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৩০ টাকা। রিজার্ভ নিলে ৫০০ টাকা। অথবা চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে বান্দরবান থেকে সরাসরি কচছপতলি যেতে পারেন। মোটরসাইকেলেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বান্দরবান থেকে কচ্ছপতলী পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা। কচ্ছপতলী থেকে ১ ঘন্টা কাঁচা রাস্তা পায়ে হেটে গেলে পৌঁছে যাবেন শীলবান্ধা ঝর্ণা।
খাওয়া-দাওয়া
শীলবান্ধা পাড়ায় খাওয়া-দাওয়াটা সেরে ফেলা যাবে। খাওয়া প্রতিবেলা – ২০০ টাকা (ভাত+মুরগী), ১০০ টাকা (ভাত+ডিম)স।
এস.স/ম // ৩০.০১.২০২০
আপনার মতামত লিখুন :