গরুর দুধের বিকল্প কি?
একুশে সংবাদ : পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর বড় এবটা অংশের পেটে দুধ সয় না ।
সংখ্যায় তারা প্রায় ৬৫% ।দুধ হজম করে যে এনজাইম ,সেই এরজাইমই তৈরি হেয় না এই মানুষগুলোর শরীরে ।
তাই বলে কি দুধের পুষ্টিগুণ আর এ থেকে তৈরি সুস্বাদু সব খাবারের স্বাদ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হবেন তারা? সেটির প্রয়োজন হবে না যদি তাদের জানা থাকে গরুর দুধের এই বিকল্প কথা -
১।সয়া মিল্ক
সয়া দুধে যে প্রোটিন রয়েছে তা গরুর দুধের প্রোটিনের কাছাকাছিই ,তবে এতে ক্যালরি ,ফ্যাট আর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ গরুর দুধের অর্ধেকের কাছাকাছি ।পুষ্টিগত দিক থেকে গরুর দুধের খুব কাছাকাছি রয়েছে এই সয়া দুধ ।তাই সয়াবিনে যাদের কোন স্বস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় না ,তারা গরুর দুধের জায়গায় এটিই খেতে পারেন ।
২।নারকেলের দুধ
তাজা নারিকেল আর পানির সাহায্যে তৈরি হয় নারিকেলের দুধ ।এতে যে ক্যালরি রয়েছে ,তা গরুর দুধের ক্যালরির তিন ভাগের এক ভাগ ।ফ্যাট রয়েছে গরুর দুধের অর্ধেক ,আর আছে অল্প পরিমাণে প্রোটিন ।কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম ।তাই যাদের গরুর দুধ সয় না ,তারা বেছে নিতে পারেন নারিকেলের দুধ ।
৩।চালের দুধ
প্রতিদিন যে চাল দিয়ে ভাত রান্না করে খাচ্ছি ,সেই চাল দিয়েই তৈরি করা যেতে পারে দুধ ।আবার তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালোও ।এই দুধ দিয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করে খাওয়া তো যায়ই ,ওটমিলের সাথেও এটি খেতে পারেন ।
এতে ক্যালরি রয়েছে গরুর দুধের সমানই ,কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ দ্বিগুণ ,আর প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণ সে তুলনায় বেশ কম ।
৪।ওট মিল্ক
গরুর দুধ দিয়ে যা যা রান্না করে খাওয়া যায় ,সেই সবকিছুই তৈরি করা সম্ভব ওটমিল্ক থেকেও ।এছাড়া সিরিয়ালের সাথে খেতে বা ঘরে স্মুদি জাতীয় পানীয় তৈরির সময় ব্যবহার করা যায় এটি ।এর পুষ্টিগুণ চালের দুধের সমপরিমাণই ।
একুশে সংবাদ // এস .এস // ২২.০২.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :