AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‘অতীতকে জানব, আগামীকে গড়ব’-সাক্ষরতা দিবস


Ekushey Sangbad

১০:০৭ এএম, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
‘অতীতকে জানব, আগামীকে গড়ব’-সাক্ষরতা দিবস

একুশে সংবাদ: সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করবেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সভায় ইউনেস্কো মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভার বার্তা পাঠ করা হবে। দিনভর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী। সাক্ষরতার সংজ্ঞায় বিবর্তন সাক্ষর শব্দের আভিধানিক অর্থ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি। এখন সাধারণ অর্থে সাক্ষর বলতে পড়া, লেখা ও হিসাব করায় দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মনে করা হয়। সাক্ষর ব্যক্তি যেন মাতৃভাষায় সহজে লেখা পড়তে ও বুঝতে পারে, মনের ভাব শুদ্ধ ভাষায় বলতে ও লিখতে পারে। দৈনন্দিন হিসাব-নিকাশ করতে ও লিখে রাখতে পারে। বিগত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে সাক্ষর ও সাক্ষরতার সংজ্ঞায় নানা পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে ‘সাক্ষরতা’ শব্দের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১৯০১ সালে আদম শুমারির সরকারি প্রতিবেদনে। তবে সাক্ষরতার সংজ্ঞা সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে বিবর্তিত হয়েছে। ১৯০১ সালে তা ছিল মাতৃভাষার নাম স্বাক্ষর করতে পারার ক্ষমতা। ১৯৫১ সালে স্পষ্ট ছাপার অক্ষরে লেখা যে কোনো বাক্য পড়তে পারার ক্ষমতা। ১৯৬১ সালে যে বুঝে কোনো ভাষা পড়তে পারত, সে-ই ছিল সাক্ষর। ১৯৭৪-এ যে কোনো ভাষা পড়তে এবং লিখতে সক্ষম ব্যক্তিকে সাক্ষর হিসেবে গণ্য করা হতো। ১৯৮১ সালে কোনো ভাষায় চিঠি লিখতে পারার ক্ষমতা থাকলে তাকে সাক্ষর বলা হতো। ১৯৮৯ সালে তা হয় মাতৃভাষায় কথা শুনে বুঝতে পারা, মৌখিক ও লিখিতভাবে তা ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন হিসাব করার এবং লিপিবদ্ধ করে রাখার ক্ষমতালাভ। বর্তমানে সাক্ষরতার পরিধি শুধু মাতৃভাষা চর্চা ও হিসাব-নিকাশ আয়ত্ত করার মধ্যে সীমিত নেই। কম্পিউটার সাক্ষরতা, আর্থিক সাক্ষরতা, সাংস্কৃতিক সাক্ষরতার মতো বিভিন্ন নাগরিক প্রসঙ্গ সর্বোপরি উন্নত জীবনের জন্য অপরিহার্য মানসম্মত দক্ষতা অর্জন, দেশাত্মবোধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির সোপান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। একই সঙ্গে সাধারণভাবে সব দেশে সব সমাজে ক্রমেই এ বোধ বিস্তৃত হয়েছে ও হচ্ছে যে, সাক্ষর মানুষ লক্ষ্যহীন, কর্মহীন, অসামাজিক, অমানবিক হতে পারে না। সাক্ষরতা, মানব অধিকার ও উন্নয়ন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণায় (১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮) ২৬নং ধারায় শিক্ষা বিষয়ে বলা হয়েছে : ক. প্রত্যেকেরই শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে। অন্ততপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে শিক্ষা অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা হবে বাধ্যতামূলক। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সাধারণভাবে লভ্য থাকবে এবং উচ্চতর শিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সবার জন্য সমভাবে উন্মুক্ত থাকবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে : ক. রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; খ. সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য ; গ. আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাক্ষরতার হার ও লক্ষ্য অর্জনের কথা সাক্ষরতার হার নিয়ে দেশ-বিদেশের তথ্যে গরমিল আছে। ওয়ার্ল্ড ফেসবুক ২০১৫-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৬১.৫ শতাংশ। ভারতে ৭১.২, পাকিস্তানে ৫৮.২, থাইল্যান্ডে ৯৬, মালয়েশিয়ায় ৯৪.৫, জাপানে ৯৯, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯৯, সিঙ্গাপুরে ৯৬.১ শতাংশ। ৬ সেপ্টেম্বর আমাদের একটি বার্তা সংস্থা ইউনেস্কোর প্রকাশিতব্য ২০১৬ গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্টে উল্লেখ করে যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা নিয়েও সবাই হয়তো এক মত হতে পারবে না। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৫৫ সালে সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। আর ২০৭৫ সালে পারবে নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনে। সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে যেখানে ৬ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তি সাক্ষরতা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত, বাংলাদেশে সে হার ১ শতাংশেরও কম। বিপুল জনগোষ্ঠীর নিরক্ষরতা দূর করে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের অনুমোদন পায়। এরপরই সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরুœ হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষর করাসহ জীবনমুখী শিক্ষা দেয়া হবে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরুর লক্ষ্য নিয়ে এখন পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। তবে হাতে যে সময় আছে তাতে সব প্রস্তুতি শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। জীবনের জন্য শিক্ষা ও কুদরাত-এ-খুদা রিপোর্ট সবার জন্য শিক্ষা শিরোনামে ইউনেস্কো ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে; যা সবার জন্য শিক্ষা : গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্ট নামে পরিচিত। এর মধ্যে ২০০৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টটি ছিল সাক্ষরতার ওপর। ‘জীবনের জন্য শিক্ষা’ ছিল প্রধান উপজীব্য। এতে বলা হয়, সাক্ষরতা একটি অধিকার এবং সব শিক্ষার ভিত্তি। সাক্ষরতা মানুষকে জীবনযাপনের জ্ঞান ও কৌশল শেখায়। সমাজে অধিকতর সক্রিয় অংশগ্রহণে অভ্যস্ত করে। আজকের জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতিতে সাক্ষরতায় দক্ষতা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্ববহ। আমি অনুপ্রাণিত বোধ করি যখন দেখতে পাই, ১৯৭৪ সালেই কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে বলা হয়েছে : ‘নিরক্ষরকে সাক্ষর করে তোলা, কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে উন্নততর কলাকৌশল পদ্ধতি শিক্ষাদানের মধ্যেই... সীমাবদ্ধ নয়। সঙ্গে সঙ্গে... বোঝাতে হবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূল বক্তব্য কী এবং কেন আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে এগুলোর প্রতিষ্ঠা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত সুপরিকল্পিত গণশিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আনয়ন সম্ভব।’ রাশেদা কে চৌধুরী পরিচালিত গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগী এডুকেশন ওয়াচ বর্তমান বছর ২০১৬ সালে বাংলাদেশে শিক্ষা ও সাক্ষরতার ব্যবহার, জীবন দক্ষতা অর্জন এবং আর্থ-সামাজিক ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের যে কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষজ্ঞ দল এবং গবেষণাকর্মী, শিক্ষক প্রতিনিধি আঞ্চলিক ও তৃণমূল পর্যায়ে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সবার জন্য শিক্ষা : গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্ট ২০১৫ ইউনেস্কো থেকে প্রকাশিত ‘সবার জন্য শিক্ষা : গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্ট ২০১৫’-এর মুখবন্ধে বিশ্ব সংস্থাটির মহাপরিচালক, ইরিনা বোকোভা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ১.৬ মিলিয়ন নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে উল্লেখ করে বলেন : ‘সারা বিশ্বে এখনও ৫ কোটি ৮০ লাখ শিশু স্কুলের বাইরে। প্রায় ১০ কোটি শিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারে না। অতি দরিদ্র ও সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর ওপর অস্বাভাবিক বোঝার চাপে শিক্ষাক্ষেত্রে অসমতা বেড়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের শিশুদের তুলনায় অতি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের স্কুলে না যাওয়ার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি এবং প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না করার সম্ভাবনা পাঁচগুণ বেশি। এক্ষেত্রে সংঘাত একটি প্রধান অন্তরায়, যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে এবং এদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সর্বোপরি প্রাথমিক স্তরে নিু মানসম্পন্ন শিক্ষার কারণে লাখ লাখ শিশু মৌলিক দক্ষতা অর্জন না করেই স্কুল ত্যাগ করছে। উপরন্তু, শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্থিক সংস্থানও অপ্রতুল। অনেক সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় বাড়িয়েছে, কিছু কিছু সরকার জাতীয় বাজেটে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং অধিকাংশ সরকারই অর্থায়নের ক্ষেত্রে সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ২০% বরাদ্দ প্রদান করেনি। দাতাদের ক্ষেত্রে এ চিত্র একই রকম, যারা শুরুতে সহায়তা বাজেট বৃদ্ধির পর ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে এবং যেসব দেশে সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেসব দেশকে পর্যাপ্ত অগ্রাধিকার প্রদান করেনি।’ এ রিপোর্টের ১০ সুপারিশ প্রণিধানযোগ্য : ১. শৈশবকালীন যতœ ও শিক্ষায় গুরুত্ব আরোপ। ২. সব শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনে সক্ষম করে তুলতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা। ৩. যুব ও বয়স্কদের মধ্যে কর্ম ও জীবনদক্ষতা অর্জনপ্রবণতা উন্নত করা। ৪. সাক্ষরতা ও গণিত বিষয়ে জ্ঞানের অধিকার আদায়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের সক্ষম করে তোলা। ৫. জেন্ডার সমতা থেকে সরে এসে জেন্ডার বৈষম্যহীনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ। ৬. শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ। ৭. সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা সহায়তা ও সম্পদ বৃদ্ধি করা। ৮. সমতার ওপর গুরুত্ব জোরদার করা। ৯. পরিবীক্ষণ আরও উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অভাব পূরণ করা। ১০. শিক্ষার জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখতে সমন্বয় বিষয়ক চ্যালেঞ্জ উত্তরণ। এ ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়নের ১৭ লক্ষ্য ও বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, অসাম্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বকে এগিয়ে নিতে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ১৫ বছরের অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন লক্ষ্যমাত্রা জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের মেয়াদপূর্তিতে নেয়া উচ্চাভিলাষী এ পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি। ১৫০টি দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এক সম্মেলনে এসডিজি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে অংশ নেন এবং জোরালো বক্তব্য রাখেন। এসডিজির ১৭ লক্ষ্যের মধ্যে ৪ নম্বরে আছে শিক্ষা। যুক্ত হওয়ার, যুক্তির পথে সাক্ষরতার সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জাতীয় অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। ফাংশনাল লিটারেসি বা কার্যকর সাক্ষরতা অর্জনের জন্য বিনিয়োগের বিকল্প নেই। গ্লোবাল এডুকেশন ডাইজেস্টের ২০১৫ সালের তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ যেখানে বাজেটে মোট ব্যয়ের ১৩.৮ শতাংশ ও জিডিপির ২.০, ভুটান মোট ব্যয়ের ১৭.৮ ও জিডিপির ৬.০, ভারত মোট ব্যয়ের ১৪.১ ও জিডিপির ৩.৮, নেপাল মোট ব্যয়ের ২২.১ ও জিডিপির ৪.৭, পাকিস্তান মোট ব্যয়ের ১১.৩, ও জিডিপির ২.৫ ব্যয় করছে।         একুশে সংবাদ ডটকম    //   এম   //   ০৮.০৯.১৬
Link copied!