সেমিফাইনালে যেতে অস্ট্রেলিয়ার ১৪৯ রানের সমীকরণ সহজ ছিল। জিতলেই সেমিফাইনাল। এই জয়ে অজিদের পাশাপাশি ভারতও শেষ চারে উঠে যেত। তবে বাঁচা-মরার ম্যাচ হতাশার পরাজয়কে সঙ্গী করল অজিরা। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন মজবুত করলো আফগানিস্তান।
কিংসটাউনে আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। আফগানদের ঐতিহাসিক জয় ২১ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে কখনোই সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না অস্ট্রেলিয়া। রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন ট্রেভিস হেড। সেই শুরু। এরপর আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন দলের বাকি ব্যাটাররা।
একপ্রান্ত আগলে আজও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৯ রানে তিনি আউট হওয়ার পর অজিদের হার ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আফগানদের হয়ে গুলবাদিন চারটি, নাভিন তিনটি এবং নবী ও রশিদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আজ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাট হাতে আফগানদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ১১৮ রান।
এমন সূচনা পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি আফগানরা। ৬০ রানে গুরবাজ ফেরার পর আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন দলের বাকি ব্যাটাররা। ইব্রাহিম করেন ৫১ রান। করিম জানাত ১৩ ও মোহাম্মদ নবী ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগান ইনিংসের শেষদিকে সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন প্যাট কামিন্স। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এ বোলার আজও পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। রশিদ খান, করিম জানাত ও গুলবাদিন নাঈবকে ফিরিয়ে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে