AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বোল্ট ও জনসনকে পিছনে ফেললেন মহম্মদ শামি


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০৬:৩৪ পিএম, ২৭ মে, ২০২৩
বোল্ট ও জনসনকে পিছনে ফেললেন মহম্মদ শামি

শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৩ এর কোয়ালিফায়ার 2-এ গুজরাট টাইটানস দল একটি বড় জয় পেয়েছে।মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ২৩৪ রানের লক্ষ্য রেখেছিল গুজরাট। 

 

এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পাওয়ারপ্লেতেই মহম্মদ শামির হাতে দুটি ধাক্কা খায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে তিনি নেহাল ওয়াধেরাকে সাজঘরের পথ দেখান এবং তারপর অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। এরই মধ্যে বড় রেকর্ড নিজের নামে করে ফেলেন মহম্মদ শামি।

 

আসলে, মহম্মদ শামি আইপিএলের ইতিহাসে এক মৌসুমে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ১৬তম আইপিএলে মহম্মদ শামি মোট ২৮টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র পাওয়ারপ্লেতে মহম্মদ শামি নিয়েছেন ১৭টি উইকেট। এক মৌসুমের পাওয়ারপ্লেতে এর চেয়ে বেশি বা সমান উইকেট আর কোনও বোলার নিতে পারেননি। এই সাফল্যের বিচারে ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল জনসনকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মহম্মদ শামি।

 

আইপিএল ২০২৩-এর পাওয়ার প্লেতে এখনও পর্যন্ত মহম্মদ শামি ১৭ ম্যাচে ১৭টি উইকেট শিকার করেছেন। আর ট্রেন্ট বোল্ট ২০২০ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে পাওয়ারপ্লেতে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। একই সময়ে, ২০১৩ সালের মৌসুমে, মিচেল জনসন এক মৌসুমের পাওয়ারপ্লেতে ১৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। জনসন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও খেলেছেন। এবার এই রেকর্ডটি মহম্মদ শামির নামে নথিভুক্ত হয়েছে। মহম্মদ শামিও এই মৌসুমের বেগুনি টুপির মালিক হয়েছেন। 

 

ম্যাচের কথা বললে, কোয়ালিফায়ার-২-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ৩০ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে শুভমন গিলের ক্যাচটি মিড-অনে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়লে খেলার ফল অন্য হতেই পারত। গিলের ক্যাচ ড্রপের পর মনে হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বেশ চাপের মধ্যে যেতে চলেছে। গুজরাট টাইটানসের এই ওপেনার জীবন দানের পরে আরও ৯৯ রান করেন এবং মরশুমের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন। গিলের সেঞ্চুরি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিশাল স্কোর মোট ২৩৩ রান ছুঁতে সাহায্য করেছিল।


এটি ছিল আইপিএলের ইতিহাসে প্লে অফে যে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ স্কোর, তাই চাপটা এমআই-এর ওপর আসতে বাধ্য। তার উপর ছিল ইশান কিষাণের ইনজুরি। সেই কারণে নেহাল ভাদেরা রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে আসলেও দুই ওপেনারই সস্তায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ১৪ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিলক বর্মা। 

 

এরপর সূর্যকুমার যাদবও ঝোড়ো ৩৮ বলে ৬১ রান করেন। কিন্তু তার আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন দল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ রান খরচ করে ১৪ বলে ৫ উইকেট নেন মোহিত শর্মা। এবং এই ম্যাচ ৬৪ রানে হেরে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এর ফলে আইপিএল ২০২৩-এর ফাইনালে গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস।


একুশে সংবাদ.কম/সম 

Link copied!