মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও রিজিকদাতা। যাবতীয় কল্যাণ একমাত্র তাঁরই হাতে। তাই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের বিকল্প নেই। প্রশান্ত জীবন লাভে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই।
যারা তাঁর নির্দেশিত পথ থেকে সরে যাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হতাশার পাহাড়গুলো তার মাথার ওপর চেপে বসবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহাপবিত্র আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতে মগ্ন হও। আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব। তুমি যদি তা না করো, তাহলে আমি তোমার অন্তর হতাশা দিয়ে পূর্ণ করব এবং তোমার দরিদ্রতা দূর করব না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১০৭)
অন্য বর্ণনায় আছে, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি আমার ইবাদতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করো, আমি তোমার অন্তর ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব। তুমি তা না করলে আমি তোমার দুই হাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব-অনটন রহিত করব না। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৬৬)
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, আমি তোমাদের নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার সমস্ত চিন্তাকে একই চিন্তায় অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে, আল্লাহ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপরদিকে যে ব্যক্তি যাবতীয় পার্থিব চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে সে যেকোনো উন্মুক্ত মাঠে ধ্বংস হোক, তাতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৫৭)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে পরকাল, আল্লাহ সেই ব্যক্তির অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন এবং তার যাবতীয় বিচ্ছিন্ন কাজ একত্র করে সুসংযত করে দেবেন, তখন তার কাছে দুনিয়াটা নগণ্য হয়ে দেখা দেবে।
আর যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে দুনিয়া, আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির গরিবি ও অভাব-অনটন দুই চোখের সামনে লাগিয়ে রাখবেন এবং তার কাজগুলো এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন করে দেবেন। তার জন্য যা নির্দিষ্ট রয়েছে, দুনিয়াতে সে এর চেয়ে বেশি পাবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৬৫)
একুশে সংবাদ/ বা.প্র/ রখ
আপনার মতামত লিখুন :