আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার এখন অস্ত্র হিসেবে দাড়িয়েছে। দেশে এবং আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারকে অস্ত্রহিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব অনুষ্ঠিত অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ ও ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিতদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’এর সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদেশি কিছু দেশ কোন দেশ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য আদায় না করতে পারলেই তখন তারা চাপ দেয়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে সরকার উৎখাত করে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। কিছু হলেই বিবৃতি দেয়। কিল মারলেও বিবৃতি দেয়, ঘুশি মারলেও বিবৃতি দেয়। এটি এখন ব্যবসা। যা বাংলাদেশেও হচ্ছে বিদেশেও হচ্ছে। আমি মনে করি এই ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার।
১৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর কারাদন্ডপ্রাপ্ত, চাবুরীচ্যুত সদস্য এবং ফাঁসী দেওয়া সদস্যদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশ সন্ত্রাসীকরার পরিকল্পনা করেছে। এবং তা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। কিন্তু তা করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী রাজপথে থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে তা মোকাবেলা করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিল তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, বোমা হামলা করা হয়েছিল এবং আগুণে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া দায়ি।
খালেদাজিয়ার পরিকল্পনায় ও লন্ডন ও থেতে তারেক জিয়ার নিদের্শে করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের এ রাজনৈতিক নেতা বলেন, তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে, যারা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে, বাংলাদেশকে যারা আহ্বান জানায় তাদের বলব-এসে দেখে যান, এদের বক্তব্য শুনুন, তাদের আর্তনাদ শুনুন। আগে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তাহলেই সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :