বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শুধু ৭ মার্চ নয়, আমরা ২ মার্চ, ৩ মার্চ পালন করছি। ২ মার্চ প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তখনকার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আ স ম আবদুর রব। ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ। এটাকে কিভাবে অস্বীকার করব? একইভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস। অবশ্যই তার সম্মান, তার মর্যাদা তাকে দিতে হবে। জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণা জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং সমগ্র জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এটাও ইতিহাস। এগুলো কোনোটাই অস্বীকার করা যাবে না।’
রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে গতকাল শনিবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আয়োজনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে জাতি হিসেবে আমরা বিভক্ত হয়ে পড়েছি। আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে, চেতনার পক্ষে-বিপক্ষে নিয়ে গেছে। ওই চেতনা নিয়ে কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল?’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, কে কার খেতাব নিল না নিল, তাতে জিয়াউর রহমানের কিছুই যায় আসে না। এ দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষেরও কিছু যায় আসে না। বিএনপিরও কিছু যায় আসে না। জিয়াউর রহমান এটা অর্জন করেছিলেন তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে, কাজের মধ্য দিয়ে, যুদ্ধের সময় জনগণকে অনুপ্রাণিত করার মধ্য দিয়ে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র তাদের কাছে যাবে। আজই (গতকাল) যাবে।’
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :