AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং জনগণের প্রশ্ন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:২১ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং জনগণের প্রশ্ন

বাংলাদেশে রাজনীতির মাঠে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে কি? বিএনপি আশাবাদ জাগানিয়ার মতো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কি? সে রকম কোনো সম্ভাবনা ও লক্ষণ কি মিলেছে? বিএনপির বাইরে যেসব রাজনৈতিক দল আছে তারা আদৌ কোনো কার্যকর ভূমিকা পালনের পথে কি হাঁটছে? 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। মানুষের ভোটাধিকারের সুযোগ দেওয়া। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতি বাস্তবায়নের পথে আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা দেখা যাচ্ছে কি। নির্বাচন কমিশন কি সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে তার প্রতি আস্থা তৈরি হবে সব রাজনৈতিক দলের এবং ভোটারের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই মানুষের মনে দানা বেঁধে উঠছে এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন। এ কারণে এই লেখার শুরুতে হাজির হয়েছে অসংখ্য কী, যার উত্তর খোঁজা এবং বাস্তবতা পাঠের নিমিত্তে এই লেখা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক মাস এগারো দিন সময় বাকী আছে। এর মধ্যেই শেষ করতে হবে নির্বাচনের সব কার্যক্রম। সেই হিসাবে এই সময়টা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু নয়, পুরো দেশের আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। একই সঙ্গে সংকট ও সম্ভাবনারও সময়। এখন দেখার বিষয়, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক দলগুলো কী ভূমিকা পালন করবে। সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন যদি এই সময়ের মধ্যে করা না যায়, তা হলে সেটা গণতন্ত্রের বিকাশ, বাকস্বাধীনতা ও মানবিকতার জায়গাগুলোকে আরও বেশি সংকুচিত করতে হবে। নীতি, নৈতিকতা ও ন্যায্যতার চর্চাকে আরও বেশি বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হওয়া খুবই জরুরী। বেদনাদায়ক হলেও সত্য, দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখন আইসিইউতে রয়েছে। যে কোনো পর্যায়ে নির্বাচনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। এই চর্চা যে আমাদের জন্য মোটেই ভালো কিছু নয়, তা এখন গভীরভাবে টের পাওয়া না গেলেও যখন টের পাওয়া যাবে তখন কিছুই করার থাকবে না। নাকি এর মধ্যেই টের পাওয়া গেছে, কিন্তু গায়ের জোরে তাকে অস্বীকার করা হচ্ছে? নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার মানদণ্ড কী? কোন নির্বাচনকে আমরা গ্রহণযোগ্য বলব আর কোনটাকে গ্রহণযোগ্য বলব না। এর একটা সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি মনে করেন নির্বাচন কেবল সাংবিধানিকভাবে বৈধ হলেই হবে না, গ্রহণযোগ্যও হতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলতে কোন নির্বাচনকে বুঝব, কী কী শর্ত সেখানে অবধারিত। যে নির্বাচন এক. অবাধ, দুই. সুষ্ঠু, তিন. নিরপেক্ষ ও চার. প্রতিযোগিতামূলক। এর কোনো একটা শর্ত যদি অপূর্ণ থাকে তাহলে সেই নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে বৈধ হলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নয়। যে নির্বাচন এসব শর্ত পূরণ করে না সেই নির্বাচনের মধ্যে যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসেন তাদের দ্বারা দেশ ও জনগণের কতটা স্বার্থ সদর্থক অর্থে পূরণ হয় সেসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এখন দেখার বিষয় অমর্ত্য সেনের এই মতামতকে আমলে নেওয়া হচ্ছে কিনা।

নির্বাচনের আর এক মাস এগারো দিন সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন কমিশন এখনো ভোটারদের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারেনি। এ লক্ষ্যে তারা উল্লেখযোগ্য কোনো প্রচার-প্রচারণায়ও নামেননি। নির্বাচন কমিশনের ওপর ভোটারদের আস্থা যে প্রায় শূন্যের কোঠায় তার প্রমাণ সদ্যসমাপ্ত সিটি করপোরেশন এবং জাতীয় সংসদের কয়েকটি আসনের উপনির্বাচন। এসবের বেশিরভাগ জায়গায় ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশিত ও স্বাভাবিক মাত্রায় ছিল না। প্রশ্ন উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের ভোটারদের অনুপস্থিতি নিয়েও। এই অবস্থায় এটাই কি প্রমাণিত হয় না, ক্ষমতাসীনদলের ওপর তাদের সমর্থকরা ভোটের রাজনীতিতে আস্থা রাখতে পারছে না। এই বাস্তবতা ক্ষমতাসীনদলের জন্য কঠিন এক বার্তা হলেও ক্ষমতার চশমা দিয়ে সবকিছু দেখার ফলে বিষয়টাকে আমলে নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে এখন চার চ্যালেঞ্জ : এক. নিজেদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা, দুই. ভোটারদের আস্থায় নেওয়া, তিন. ক্ষমতার বাইরে বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল করা, চার. সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও জনগণ কর্তৃক গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন উপহার দেওয়া। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। ক্ষমতায় থাকার কারণে তারা দল হিসেবে অনেক বেশি সংগঠিত।নেতাকর্মী-সমর্থকরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় রয়েছেন। অসুবিধা হলো, ক্ষমতার সুযোগ-সুবিধার প্রশ্নে দলের ভেতরে নানা ধরনের কোন্দল বিদ্যমান রয়েছে। এই কোন্দল কেন্দ্র থেকে ক্ষমতা কাঠামোর একেবারে প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এর কোনোটা প্রকাশ্য, কোনোটা অপ্রকাশ্য, কোনোটা মারমুখী, কোনোটা সুস্থ। কিন্তু বিরোধ রয়েছেই। এই বিরোধ যদি শক্ত হাতে রোধ করা না যায়, দলীয় স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিষ্পত্তি করা না হয়, তা হলে নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলই যথেষ্ট। সময় কম, অথচ এ ব্যাপারে বড় কোনো ড্রেস রিহার্সেল বা কার্যকর মহড়া আওয়ামী লীগে দেখা যাচ্ছে না। ভোটারদের আস্থায় নেওয়ার দায়িত্বটা যেমন নির্বাচন কমিশনের, তেমনি ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও। সে ক্ষেত্রে তাদের খেয়াল রাখতে হবে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের মতো প্রশাসকদের সম্পর্কে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট করে বলেছেন, এ রকম জেলা প্রশাসক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন আওয়ামী লীগ কি এ ধরনের জেলা প্রশাসকদের প্রশ্রয় দেবে নাকি চাকরিবিধি লঙ্গনের জন্য শাস্তির আওতায় আনবে সেটা তাদেরই ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। সেটা কখনো সঙ্গে সঙ্গে ঘটে, কখনো দীর্ঘ সময় পরে ঘটে। কিন্তু ঘটবেই। এটাই নিয়ম। এখন আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিক কিছু প্রাপ্তির আশায় তার ভবিষ্যতের সমূহ সর্বনাশ ঘটাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে।

ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন দেওয়া। যদি কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হয়, তা হলে রাজনীতির জন্য এর চেয়ে বেদনার আর কিছুই হবে না। যার ফলাফল কেবল তাৎক্ষণিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সুদূরপ্রসারীও হতে পারে। দেশ দীর্ঘমেয়াদে হারাতে পারে তার আন্তর্জাতিক সহযোগীদের। বিভিন্ন সূচকে অবনমন ঘটতে পারে দেশের অবস্থান। ফলে এই নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও বিচক্ষণ একটা রাজনৈতিক দল যদি এই বাস্তবতা বুঝতে অবিবেচক হয় তা হলে তার খেসারত দিতে হবে সবাইকে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলো একটা নির্বাচনের প্রাণ। নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও আস্থাহীনতার এই সময়ে যখন ভোটাররা হয়ে পড়েছেন ভোটবিমুখ, তখন নির্বাচন কমিশনের এমন একটা নির্বাচন উপহার দেওয়া জরুরি, যে নির্বাচন সবগুলো শর্ত পূরণ করে। তবেই নির্বাচনী সংস্কৃতিতে নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পাবে। তা না হলে জাদুঘরে চলে যেতে পারে বাংলাদেশের মানুষের ভোটকেন্দ্রিক উৎসব-আনন্দ আর সাধারণ মানুষের ‘একদিনের রাজা হওয়ার’ নাগরিক অধিকার। ক্ষমতা বলয়ের বাইরের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির জন্য এই নির্বাচন বাঁচা-মরার লড়াই, যা তাদের নেতাকর্মী-সমর্থকরা সব সময় বলেন বিশ্বাস করেন। এখন বিএনপিকে এমন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে যাতে ভোটাররা তাদের প্রকৃতার্থেই বন্ধু মনে করে, জুতসই বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে এখন যা করছে এটাকে রাজনৈতিক ওয়ার্মআপ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এখন প্রয়োজন অ্যাকশন প্ল্যানে যাওয়া এবং সেটা রাজনৈতিকভাবেই। পাশাপাশি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কী ভুল ছিল তাদের সেটা থেকেও শিক্ষা নেওয়া জরুরি। পাশের দেশ ভারতে ক্ষমতাসীন দলকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত করতে বিরোধী দলগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। যারা মনে করছেন মোদি সরকারকে পরাজিত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপে সক্ষম হয়েছে। এখন মোদির বিপরীতে ইন্ডিয়া জোটের বিরোধীমুখী নির্বাচন করা জরুরি। যেখানে তারা একমত হলেই হবে না, তাকে সর্বময় জোটের যে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বময় ক্ষমতাও দিতে হবে। যেভাবে বিজেপি ও তার জোটের সতীর্থরা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ইন্ডিয়া জোটের থেকে বিএনপি নেতৃত্বের শিক্ষণীয় অনেক কিছু রয়েছে বলে আমরা মনে করি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠে, নির্বাচনী বৈতরণীতে যে ধরনের প্রস্তুতি, প্রচার ও কৌশল অবলম্বন করা দরকার তার ইঙ্গিত কাক্সিক্ষত মাত্রায় মিলছে না। ফলে আগামীর এই নির্বাচন নিয়ে কার মনে কী রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে দ্বিধা ও সংশয়। রাজনীতিবিদরা এসব নিরসনে আন্তরিক হলেই দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছুর বার্তা আসতে পারে। তা না জাতি নতুন সরকারের অপেক্ষায় প্রত্যাশা অনেক দায়িত্ব কঠিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মহাজোটের পক্ষ থেকে বিজয়ী ২৮৮ জন সাংসদ গতকাল শপথগ্রহণ করেছেন। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সরকারও শপথগ্রহণ করবে। গত দুবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় কিছু চমক দিয়েছেন। এবারও এ ধরনের চমক থাকবে বলে পত্রপত্রিকার সংবাদে জানা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা কেমন হয় তা দেখার জন্য দেশবাসী এখন অপেক্ষায় রয়েছে। এবারও সংসদ বিরোধী দলবিহীনই থাকছে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী দল জাতীয় পার্টি এখনো তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে মনে হচ্ছে তারা গতবারের মতোই মন্ত্রিসভা এবং বিরোধী দল দুদিকেই অবস্থান নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের জন্য এই ফল কেবল বিপর্যয় নয়, এক বিব্রতকর বাস্তবতা তৈরি করেছে। নির্বাচনোত্তর প্রতিক্রিয়ায় তারা শপথগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত গণফোরামের দুজন নির্বাচিত সদস্য শেষ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেবেন তাও স্পষ্ট নয়। বিরোধী দলবিহীন সংসদে সরকারের জবাবদিহিতার দায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া এ বাস্তবতায় গণতন্ত্রচর্চার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিগুলো সত্যিকার অর্থে কার্যকর হতে পারে না। পরিণত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির প্রধান থাকেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তাতে সরকারের সব কাজ বিরোধী দলের অনুমোদনের মুখাপেক্ষী থাকে। কিন্তু গত দশ বছরের প্রথম পাঁচ বছর বিএনপি প্রধান বিরোধী দল হয়েও সংসদীয় কার্যক্রমে বিশেষ অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৪-তে তারা নির্বাচনেই অংশ নেয়নি। ফলে তারা ছিল সংসদের বাইরে। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তাদের নির্বাচিত সাংসদের সংখ্যা অত্যন্ত কম, তার ওপর তারা সংসদ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে যথাযথ পদ্ধতিতে সংসদীয় কমিটি গঠনকে অসম্ভব করে তুলেছে। নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা হবে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। সেদিক থেকে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কাজে বিরোধী দলের নজরদারি আবশ্যক। এখন সচেতন জনগণ আশা করবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিজে থেকেই জবাবদিহিতার ব্যবস্থা কার্যকর করবে। এ কথা ঠিক, গত দশ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে একজন দক্ষ ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছেন। এবার তাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার রূপকার হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এভাবে তিনি ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করবেন দক্ষিণ এশিয়ার একজন সফল ও মহৎ শাসক হিসেবে।

মো: সফিকুল ইসলাম নাহিদ 

দৈনিক একুশে সংবাদ 

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)  প্রতিনিধি

একুশে সংবাদ/এস কে 

Link copied!