AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইউটিউব দেখে জাল নোট তৈরি: কম্পিউটারসহ গ্রেপ্তার এক


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:৩৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
ইউটিউব দেখে জাল নোট তৈরি: কম্পিউটারসহ গ্রেপ্তার এক

ইউটিউব দেখে জাল নোট তৈরি এবং তা সরবরাহের অভিযোগে জিসান হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার জাল নোট ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‍্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার‍্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, উচ্চাভিলাষী জিসান ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি নিজেই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছিলেন। প্রায় ২ কোটি সমমূল্যের জাল টাকা বাজারে ছেড়েছেন তিনি।

জিসান জানান, জাল টাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হয় সে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে জাল টাকা তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করতো জিসান। অ্যাপসে এ টাকা বিক্রির পন্থা বলে দিত চক্রের সদস্যরা। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়ার পর আগ্রহীদের কমেন্টে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ে আসতে বলা হতো। সেখানেই হতো লেনদেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করা হতো।

মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, জাল নোটগুলো ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চক্রের সদস্যদের কাছে সরবরাহ করতো জিসান। প্রতি ১ লাখ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের জাল নোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন তিনি। এরপর চক্রটি মাছ বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করতো।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাপিয়ে মজুদ করতেন জিসান। জাল নোট প্রিন্টিংয়ের সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয়ে ফেলতেন তিনি। যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারেন।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!