ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের পাঁচটি মোবাইল অপারেটরের কাছে সরকারের বকেয়া রয়েছে ৭ হাজার ৮২২ কোটি টাকা ৩ লাখ টাকা।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মোঃ শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল পাঁচটায় অধিবেশন শুরু হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে দেশে চারটি (সিটিসেল বন্ধ) মোবাইল কোম্পানী পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উক্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলি সরকারকে ৩ হাজার ১৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে। এছাড়া, বিটিআরসির অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগে সংরক্ষিত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে-মোবাইল অপারেটরগুলির কাছে বকেয়ার পরিমান ৭ হাজার ৬৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বকেয়ার রয়েছে গ্রামীন ফোনের কাছে- ৬ হাজার ১০১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলালিংকের কাছে ৮৮০ কোটি ১৫ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে বকেয়ার পরিমান ৫৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং সিটিসেলের কাছে ১৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া টেলিটকের কাছে বকেয়া হয়েছে ১২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর থ্রিজি স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফি বাবদ ১ হাজার ৫৮৫দশমিক ৯৩ কোটি টাকা ইক্যুইটিতে কনভার্সনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে, অর্থ মন্ত্রণালয় হতে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি এবং স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৪৩ কোটি ৮১ লাখ ও এসওএফ (SOF) বাবদ বকেয়া ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকাসহ মোট ১২৭ কোটি ৩৬ কোটি টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :