বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শুধু সরবরাহ নয়, আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক ধীরগতি রয়েছে, এ কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। এ দুর্ভোগ কমাতে হলে টেকনোলজি আরও আপডেট হতে হবে।
রোববার (২১ মে) হাইড্রোকার্বন ইউনিট আয়োজিত বাংলাদেশের স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অনেকে মনে করেন আমি টেকনোলজি জানি না, কীভাবে চলব। তাদের ভয়ের কিছু নেই, আমরা অনেক ধাক্কা খেয়ে মোবাইল ব্যবহার শিখছি। আপনি পারছেন না, আপনার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের শিখিয়ে নিন। আরও কীভাবে উন্নত সেবা দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি আমরা।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন চালু হলে তেল সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে পারব। এখন যেভাবে বার্জে করে আনা হয়, এতে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগে, অন্যদিকে ভেজাল মেশানোর ভয় থেকে যায়। পাইপলাইনে তেল আসলে কোনো রকম ভেজাল মেশাতে পারবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে আমি মনে করি কোনটি হলে জনগণের ভালো হবে, সেটা নিশ্চিত করা। জ্বালানির ক্ষেত্রে যদি বলি, কতটা নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও মানসম্মত দিতে পারছি। আমরা যা দিতে চাচ্ছি, ঠিকমতো সেটা সরবরাহ করতে পারছি কিনা। ৩ মাসের বিল আপনারা এফডিআর করে রাখছেন কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন, সরবরাহ দিতে পারছেন না। নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হলে তার জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে সেবাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে অনেকে মনে করে আইটি নির্ভর বাংলাদেশকে। টেকনোলজি স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উপাদান মাত্র, সেবার জায়গাটা যদি সহজ করতে না পারি তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে না।
একুশে সংবাদ/আজ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :