বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, তবে তা যেন বিরোধে রূপ না নেয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, 
আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবাইকে নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেখতে চাই।
 
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করে দেশে ফেরেন জামায়াতের আমির। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাই, ফেব্রুয়ারিতে এমন একটি নির্বাচন হোক যেখানে সবাই অংশ নেবে। আমরা এককভাবে নয়, জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশ করব।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাদের উদ্বেগ-প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন। “বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরেছে, এতে প্রবাসীদেরও ভূমিকা ছিল,” বলেন তিনি।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, এবারই প্রথম প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সফটওয়্যার ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে অনেকে নিবন্ধিত হতে পারেননি। অন্তত ১৫ দিন সময় বাড়ানো উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও বৈধ পাসপোর্ট থাকলেই ভোটার হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। শর্তগুলো সহজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
দলের প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী এক বছর আগে থেকেই আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে। সময়মতো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।”
লন্ডন সফরকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আপনি শুনেছেন, আমি শুনিনি।”
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মতের পার্থক্য থাকবে, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতানৈক্য যেন বিভাজনে না রূপ নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
সরকারের আলোচনার আহ্বান প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “সরকার সময় নির্ধারণ করেননি, শুধু অনুরোধ জানিয়েছেন। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো বসে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারলে সেটি দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। জামায়াত শুরু থেকেই সংলাপের পক্ষে।”
সংক্ষিপ্ত এই ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, হামিদুর রহমান আযাদ, মতিউর রহমান আকন্দসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে
    
                        

                                            
                                                        
                            
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
												
												
												
												
												
												
												
												
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
