AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মানি লন্ডারিং মামলা হচ্ছে পাপুল দম্পতির বিরুদ্ধে


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:০০ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০২০
মানি লন্ডারিং মামলা হচ্ছে পাপুল দম্পতির বিরুদ্ধে

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে বন্দি লক্ষ্মীপুরের এমপি মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা, মেয়েসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্রে জানা গেছে, অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে তাদের বিরুদ্ধে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। এ নিয়ে আজকালের মধ্যে মামলা করা হবে।

মঙ্গলবার দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ‌‘কমিশন আজ এই মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করবেন।’

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, এনআরবি কমার্শিয়ালসহ তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামের পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে এরই মধ্যে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, পাপুল, তার স্ত্রী ও তাদের মেয়ের ব্যাংক হিসাব থেকেও জেসমিন প্রধানের হিসাবগুলোতে টাকা জমা হয়েছে। পাপুলের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিজের, স্ত্রী ও মেয়ের হিসাবে জমা রাখা হয়েছিল। পরে ওই অর্থ শ্যালিকার হিসাবগুলোতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শ্যালিকার হিসাব থেকে তা উত্তোলন করে বিদেশে হুন্ডি বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাচার করা হয়। বিদেশে অর্থ পাচারে পাপুল কয়েকটি ধাপে স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেছেন।

এনআরবি কমার্শিয়াল, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটি ব্যাংকে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাব থেকে ওই পরিমাণ টাকা পাচার বা আত্মসাতের পর এখন স্থিতির পরিমাণ যৎসামান্য।

দুদকের অনুসন্ধানে জেসমিন প্রধানের নামে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার একটি এফডিআরের সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গেছে, জেসমিন তথ্য গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। তাই তার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা গেছে, পাপুল, তার স্ত্রী ও মেয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা করেন। ওইসব এফডিআরের বিপরীতে জেসমিন প্রধান ২৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন ব্যাংকে জেসমিন প্রধানের নিজ নামে ও তার স্বার্থসংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে করা ব্যাংক হিসাবে ২০১২ সালের জুন থেকে চলতি বছরের ৭ জুন পর্যন্ত মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা জমা হয়। পরে এসব হিসাব থেকে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাচার বা আত্মসাৎ করা হয়।

মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের গত জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েতের সিআইডি। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। গোয়েন্দাদের রিমান্ডে পাপুলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জুন ওই চারজনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পাশাপাশি পাপুল দেশে ফিরলে আর যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেওয়া হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!